আজ (মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক শামীমা পারভীন (জেলা ও দায়রা জজ) এ আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম আমিরুল মৃধা (৩২)। তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার খরসূতি গ্রামের মৃত আনোয়ার মৃধার পুত্র।
রায় ঘোষণার সময় আমিরুল মৃধা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই শিশু ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফ দিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তবে ঘটনাকালীন সময়ে ওই শিশু ফরিদপুর পৌরসভার কমলাপুর পিয়ন কলোনিতে বসবাস করতেন।
গত ২০২২ সালের ১৯ জুন বেলা ১২টার দিকে শিশুটি স্কুল থেকে বাসায় আসে। এর কিছু সময় পর এলাকার চানমারি পিয়ন কলোনিতে তার মামার দোকানে পটেটো চিপস কেনার জন্য যায়। ওই সময় উক্ত আসামি ওই দোকানে উপস্থিত ছিল। তখন আসামি শিশুটিকে দেখে, তাকে টাকার লোভ দেখিয়ে সেখান থেকে তাহার হাত ধরে পিয়ন কলোনির পিছনের একটি হোস্টেলের পিছনের জঙ্গলে নিয়ে যায়।
সেখানে নিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। পরে মামলার বাদী তার মা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলার এ রায়ে সন্তুষ্ট হয়েছি। এই মামলা একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে ধর্ষকদের জন্য।