আজ (শনিবার, ২২মার্চ) দুপুরে আসামি ফজলুকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়। কিন্তু শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় শুনানি হয়নি। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে গণধর্ষণের শিকার কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শনিবার জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার কিশোরী কর্তৃক দায়েরকৃত মামলার এজাহার, এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের মধ্য সুলতান মামুদ গ্রামের অধিবাসী।
এ অবস্থায় আত্মীয়তার সুবাদে গত ২ মার্চ পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট উপজেলার গোকুন্ডা গ্রামের অধিবাসী পেশায় ড্রাইভার ফজলু হক ও তার স্ত্রী মটরসাইকেলযোগে ওই কিশোরীর বাড়িতে আসে। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক কিশোরীকে মটরসাইকেলে তুলে গোকুন্ডা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায় ফজলু ও তার স্ত্রী।
এরপর স্ত্রীর সহযোগিতায় ফজলু ও তার সহযোগী সেলিম ১৮ দিন ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই কিশোরীকে। শুধু তাই নয়, এই অপকর্মের ভিডিও ধারণ করে তারা।
এ অবস্থায় গত ১৯ মার্চ রাত ৮টার দিকে কিশোরীটি কৌশলে পালিয়ে আসার সময় ফজলু ও তার লোকজন তাকে ধাওয়া করে। তখন জীবন বাঁচাতে পথিমধ্যে গতিয়াসাম গ্রামের বাছেদ মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেন এবং তার উপর চালানো নির্যাতনের কথা জানান।
গতিয়াসাম গ্রামের আরিফ হাসান জানান, বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ভুক্তভোগী কিশোরীর আশ্রয় নেয়ার খবর পেয়ে সেখানে তারা যান এবং ঘটনার সত্যতা খুঁজে পান।
পরে এলাকাবাসী সেনাবাহিনী ও পুলিশকে ঘটনার খবর দেন। সেনাবাহিনী ও পুলিশ অভিযুক্ত ড্রাইভার ফজলু বাড়িতে গেলে সে পালিয়ে যায়। পরে তার বাড়ি থেকে ছুরি, কাচিসহ দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে আনা হয়।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. তছলিম উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ভিকটিম নিজে বাদি হয়ে ফজলুসহ তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। নারী ও শিশু দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অন্যান্য আইনগত প্রক্রিয়া এবং তদন্ত চলছে। এছাড়া অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।