বুধবার রাতে লংগদু উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নের তিন ব্রিজ টিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ (শুক্রবার, ২১ মার্চ) রাতে এ ঘটনায় লংগদু থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মনির দুই সন্তানের পিতা এবং ওই এলাকার আমির হোসেনের ছেলে।
ভুক্তভোগীর বাবা জানান, ঘটনার রাতে হঠাৎ মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এতে প্রতিবেশী মনিরের বাসায় গিয়ে মেয়ের খোঁজ জানতে চাইলে মনিরের স্ত্রী জানায় তার স্বামী তামাক খেতে আছেন। পরে লোকজন নিয়ে তামাক খেতে গেলে মনির পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় এলাকার লোকজন তাকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কিশোরীটিকে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে মনির। পরবর্তীতে তার স্বীকারোক্তিতে সেখান থেকে ধর্ষণের আলামতসহ কিশোরীটিকে উদ্ধার করা হয়।
ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা আরো বলেন, 'স্থানীয়রা মামলা মোকাদ্দমা না করে এলাকায় বসে সমাধানের কথা বলেন। কিন্তু এক পর্যায়ে ধর্ষককে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন এলাকার মাতব্বররা। পরে লংগদু থানা পুলিশে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছি।'
ভুক্তভোগী কিশোরী জানান, প্রতিবেশি আঙ্কেল মনিরের স্ত্রী আমার সঙ্গে মনিরের সম্পর্কের বিষয়টি বাবাকে বলে দেওয়ার ভয়ে আমি তামাক খেতে পালিয়ে যাই। কিছুক্ষণ পর মনির আমাকে সেখানে দেখতে পেলে জোর করে তামাক খেতের ভেতরে নিয়ে গিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। এক পর্যায়ে চট্টগ্রাম নিয়ে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তামাকের চুলায় জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে লংগদু থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, 'ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা ঘটনার রাতেই থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে তাৎক্ষণিক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের ঘটনা স্থলে যায় থানা পুলিশের দল। কিন্তু আসামি তার আগেই পালিয়ে যাওয়ায় গ্রেপ্তার সম্ভব হয়নি। শুক্রবার কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে এজাহার দিলে থানায় ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়। ভুক্তভোগী কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।'