আটককৃতরা হলেন আক্তার হোসেন, নয়ন হোসনে, আল-আমিন ও নবী নেওয়াজ।
আটক আক্তার কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ ইউনিয়নের কলাকোপা গ্রামের মৃত মতি মিয়ার ছেলে, নয়ন সবদুলপুর গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে, আল-আমিন একই গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে ও নবী জামখোলা গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারযোগে (ঢাকা মেট্টো-গ ৪৫-৪৫৯৫) আটক ব্যক্তিরা মিয়ার বেড়ি বাজারে ফারিহা শিল্পালয়ে স্বর্ণ বিক্রি করতে যায়। তাদের কাছে থাকা স্বর্ণের বারে ২১ ক্যারেট সিল ছিল। তবে স্বর্ণ নকল ছিল। সম্প্রতি রামগঞ্জ বাজারেও একই ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনা জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গ্রুপে প্রচার করা হয়। এতে ফারিহা শিল্পালয়ের মালিক কামাল উদ্দিন ঘটনাটি আঁচ করতে পারেন।
একপর্যায়ে তিনি বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনে (বাজুস) লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দকে জানায়। পরে লক্ষ্মীপুর সদরে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী ও সদর থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থল গিয়ে প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে আটক করে। তাদেরকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফারিহা শিল্পালয়ের মালিক কামাল উদ্দিন বলেন, 'আটক ব্যক্তিরা স্বর্ণ বিক্রি করতে এসেছিল। তাদের স্বর্ণ নকল হওয়ায় আমি বাজুসের নেতাদেরকে জানায়। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে তাদেরকে আটক করে নিয়ে আসে।'
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনে (বাজুস) লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সেক্রেটারি পরেশ কর্মকার বলেন, 'সম্প্রতি একই চক্র রামগঞ্জে আমাদের এক ব্যবসায়ীর কাছে নকল স্বর্ণ বিক্রি করতে যায়। এটি তখন পুরো জেলার ব্যবসায়ীদেরকে জানানো হয়। মিয়ারবেড়ী বাজারে ফারিহা শিল্পালয়ে বিক্রি করতে গেলে স্বর্ণকার তা বুঝতে পারে। এ ধরনের প্রতারক চক্র থেকে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে।'
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, 'নকল স্বর্ণ বিক্রি করতে গিয়ে চারজন প্রতারক আটক হয়েছে। নকল স্বর্ণ দিয়ে তারা টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছিল। ব্যবসায়ী বুদ্ধিমত্তার কারণে তারা ধরা পড়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।'





