লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাৎ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে বার বার অবস্থান পরিবর্তন করছিল সন্ত্রাসীরা। এ সময় তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে জিয়াউর পালিয়ে আসতে সক্ষম হন।'
জিয়াউরের বক্তব্যের সূত্র ধরে ওসি আরও বলেন, 'সন্ত্রাসীরা সংখ্যায় ১২ থেকে ১৪ জন ছিলেন। তাদের সকলের হাতে অস্ত্র রয়েছে এবং গায়ে পাতা রঙয়ের সেনা সদস্যদের মতো পোশাক ছিল। উপজাতি এই সন্ত্রাসীরা কোনো সংগঠনের সদস্য তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জায়গাটি লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা। এ ঘটনার পর অপহৃতদের উদ্ধারে সম্ভাব্য জায়গাগুলোতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালাচ্ছে।'
অপহৃতরা ফোরকান ও শাহজাহান, নুরু মোহাম্মদ কোম্পানি, আহসান উল্লাহ কোম্পানি, হুমায়ুন কোম্পানি ও সোনামিয়া কোম্পানির রাবার বাগানে ট্রেপারের কাজ করতেন। রাবার বাগানের শ্রমিক সবাই কক্সবাজার জেলার রামু ও ঈদগাহ এবং বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাসিন্দা।
আরাফাত রাবার প্লান্টেশনের মালিক মো. ফোরকান ও শাহাজাহান মেম্বার বলেন, 'অপহৃত শ্রমিকদের মুক্তিপণ নিয়ে রফাদফা চলছে। সন্ত্রাসীরা একেকবার একেক নম্বর থেকে কল দিচ্ছে। চাঁদার দাবিতে এসব শ্রমিকদের অপহরণ করা হয়েছে।'
এদিকে ভোর থেকে অপহৃত শ্রমিকদের উদ্ধারে পুলিশ ও সেনাবাহিনীসহ যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে দুই দফায় ১০ জনের বেশি শ্রমিককে অপহরণ করা হয়েছিল। পরে যৌথবাহিনীর অভিযানের মুখে অপহৃতরা মুক্তি পান।
গত ২৭ জানুয়ারি উপজেলার সরই ইউনিয়নের কেয়াজুপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সময় স্থানীয়রা অস্ত্রসহ মংএনু মার্মা নামের এক পাহাড়ি সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।