জানা যায়, রাকিব হোসেন ছাত্রলীগের কবি নজরুল কলেজ শাখার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি ২০১৯-২০ সেশনের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী। রাকিব কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাওলাদারের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।
সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্রে মানোন্নয়ন পরীক্ষা শেষে চলে যাওয়ার সময় কলেজের মূল ফটকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা তাকে ও তার বন্ধু ২০১৯-২০ সেশনের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ইফতেখার উদ্দীন সোহাসকে মারধর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দু’জনকে নিয়ে যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক মেহেদী হাসান বলেন, ‘রাকিব নানা সময়ে ছাত্রলীগের প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা করতো। গত জুলাই মাসের সহিংসতায় সে সরাসরি যুক্ত থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। এজন্য আজ তাকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।’
সূত্রাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, রাকিবের নামে সূত্রাপুর থানায় কবি নজরুল কলেজের সামনে শিক্ষার্থী হত্যা মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর ইফতেখারের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।
রাকিব ও ইফতেখার দুই বন্ধু। পরীক্ষা শেষে সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে রাকিবকে মারধর করার সময় ইফতেখার তাকে বাঁচাতে গেলে দুইজনই মারধরের শিকার হয়। তখন ঘটনাস্থল থেকে তাদের দুজনকেই আমরা থানায় নিয়ে আসি। পরবর্তীতে ইফতেখারকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মারধর বা থানায় নিয়ে যাবার বিষয়ে আমি এখনো কিছু জানি না, কেউ আমাকে জানায়ও নি। তবে আমি বিষয়টি সম্পর্কে এখুনি খোঁজ নিচ্ছি।’