আওয়ামী লীগের অপপ্রচার কেন্দ্র সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন। মেটার একটি জরিপ বলছে গেল বছরের শুধু প্রথম তিনমাসেই ৫০ টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও ৯৮ টি পেইজ সরিয়ে দিয়েছে। ভুয়া পরিচয়ের এসব অ্যাকাউন্ট ও পেজের সাথে বাংলাদেশের তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং এর গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআইয়ের জড়িত থাকার যোগসূত্র পাওয়া গেছে। যেখানে বিরোধী দলগুলোর নগ্ন সমালোচনার পাশাপাশি অপপ্রচার চালানো হতো।
রাষ্ট্রীয় অর্থ প্রাতিষ্ঠানিক কাজে ব্যয় হয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে আজ (মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুদকের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য দেন মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুপুরে আওয়ামী লীগের এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় খুঁজতে আসে দুদকের প্রতিনিধি দল। যদিও ধানমন্ডিতে সিআরআইএর অফিস খুঁজে পায়নি দুদক। সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ বলেন, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতেই অভিযান। প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক স্টেটমেন্টও সংগ্রহের কাজ চলছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় অর্থের ক্ষতিসাধন করেছে কিনা সেটা যাচাইয়ের জন্য আমাদের কমিশন থেকে অভিযানে বের হয়ে এখানে আছি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল উনাদের অফিস কোথায় আছে সেটা বের করে, সেখান থেকে কোনো নথিপত্র পাওয়া যায় কিনা সেটা দেখা।’
পরে অভিযানের বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন, দুদকের মহাপরিচালক, মো. আক্তার হোসেন। জানান, আইএফআইসি ব্যাংকে সিআরআই এর নামে ৩৫ কোটি ২১ লাখ টাকার এফডিআর পেয়েছে দুদক।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘সিআরআই নামক প্রতিষ্ঠানের যেসকল ব্যাংক হিসাব চালু ছিল, সেসকল ব্যাংক হতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। প্রাপ্ত তথ্যদ্বী পর্যালোচনায় দেখে যায় আইএফআইসি ব্যাংককে প্রতিষ্ঠানটির নামে ৩৫ কোটি ২১ লাখ টাকার এফডিআর রয়েছে।’
সিআরআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ বিভিন্ন রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রীয় তহবিলের অপব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে উল্লেখ করে মহাপরিচালক জানান, নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে সিআরআইয়ের চেয়ারম্যান সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় ও ভাইস চেয়ারম্যান সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দেখা যায়, সিআরআই নামক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং নসরুল হামিদের নাম উল্লেখ রয়েছে।’
অভিযান চলাকালে দুদক আইএফআইসি ব্যাংক ছাড়াও ডাচ বাংলা ও সোনালী ব্যাংকেও সিআরআইয়ের লেনদেনের তথ্য পেয়েছে।