আসামিরা হলেন সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সিমছাপৈর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে রুয়েল আহমেদ (২৬), কিরদাকাপন গ্রামের কিরন মিয়ার ছেলে আলী হোসেন আফজল (২২), শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা গ্রামের সাজলু মিয়ার ছেলে আজাদ মিয়া (২৩) এবং বীরগাঁও গ্রামের লেবু মিয়ার ছেলে শোয়েব মিয়া (২৭)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি সকাল সোয়া ৭টায় মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া রেলক্রসিং এলাকা থেকে একটি প্রাইভেট কার ও ৩৫ কেজি গাঁজাসহ চার আসামিকে আটক করে র্যাব-৯ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৮ জানুয়ারি আসামি পক্ষের আইনজীবী ফয়সল মিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলামের আদালতে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর হয়। ১৬ জানুয়ারি দায়রা জজ আদালতে মিসকেস করা হয়। ২৬ জানুয়ারি বিচারক জেসমিন আরা বেগম এই আবেদন খারিজ করে দেন।
আইনজীবী ফয়সল মিয়া জানান, হাইকোর্টে জামিন আবেদন প্রস্তুতির জন্য তিনি আজ বৃহস্পতিবার আসামিদের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন, ৪ আসামি জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে গেছে। এরপর তিনি আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় বিষয়টি যাচাই করে দেখেন-মূলনথিতে জামিননামার কপি সংরক্ষিত নেই। তবে কোর্ট পুলিশ অফিসের ডেসপার্স রেজিস্ট্রারে কারাগারে ভুয়া জামিননামা পাঠানোর বিষয়টি দেখতে পান।
হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মুজিবুর রহমান জানান, আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্মচারী যথানিয়মে জামিননামা কারাগারে নিয়ে আসেন এবং তাতে বিচারকের স্বাক্ষর ছিল। যাচাই শেষে আসামিদের মুক্তি দেওয়া হয়।