কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়নি বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
অভিযোগপত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে ৩৫ বছর বয়সী তোফাজ্জল হোসেনকে নির্মমভাবে মারধর করার আগে, হামলাকারীরা চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনের ক্ষতিপূরণ হিসেবে তার পরিবারের কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা দাবি করেছিল। তোফাজ্জলের চাচা আব্দুর রব মিয়া টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তিকে ক্রিকেটের স্টাম্প এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে তার কাঁধ, পিঠ, পা এবং উরুতে বেধড়ক মারধর করে।
গুরুতর আঘাত এবং রক্তক্ষরণের কারণে তোফাজ্জলের মৃত্যু হয়। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগপত্রে এই তথ্যগুলি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। হলের প্রাক্তন প্রভোস্ট এবং ১৪ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলা দায়ের করা হয়েছিল, কিন্তু মামলা স্থগিত ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
এই মামলার প্রধান ছয় আসামি জালাল মিয়া, আহসান উল্লাহ ওরফে বিপুল শেখ, আল হোসেন সাজ্জাদ, মোত্তাকিন সাকিন সাহ, মোঃ সুমন মিয়া, এবং ওয়াজিবুল আলম। এসকল আসামিরা কারাগারে আছেন এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বাকি ১৫ আসামিদের মধ্যে ফিরোজ কবির, আবদুস সামাদ, সাকিব রায়হান, ইয়াসিন আলী গাইন, ইয়ামুজ্জামান ইয়াম, ফজলে রাব্বি, শাহরিয়ার কবির শোভন, মেহেদী হাসান ইমরান, রাতুল হাসান, সুলতান মিয়া, নাসির উদ্দিন, মোবাশ্বের বিল্লাহ, শিশির আহমেদ, মহসিন উদ্দিন, এবং আব্দুল্লাহিল কাফি, পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।