গেল ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতের অদূরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন সরকারি কৌঁসুলি সাইফুল ইসলাম আলিফ। এ ঘটনায় অভিযোগের তীর ওঠে চিন্ময়ের অনুসারী ও তারপক্ষের আইনজীবীদের দিকে। আদালত পাড়ায় হত্যা, পুলিশের উপর হামলা ও নাশকতার মতো ঘটনায় উস্কানি দাতা হিসেবে মামলায় আসামি করা হয় ৭০ আইনজীবীকে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ফেসবুকে লাইভে এসে লোক জড়ো করা ও হামলা ভাঙচুরে অংশ নেয়ার।
এ ঘটনায় আইনজীবী আলিফের ভাই ও পুলিশের করা দুটি মামলায় মোট ৭০ আইনজীবীকে আসামি করা হয়। যাদের মধ্যে ৬৩ জন আত্মসমর্পণের আবেদন করেন। পরে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ারের আদালত তাদের সবাইকে জামিন দেন। পুলিশের চার্জশিট দেয়া পর্যন্ত হাজার টাকা বন্ডে জামিন দেয়া হয় তাদের।
তবে মামলার রায়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবীরা। বিস্ফোরক মামলার শক্তিশালী দুটি ধারা থাকার পরও তাদের জামিন মঞ্জুর করা নজিরবিহীন বলছেন তারা।
এ ঘটনায় শিগগিরই চার্জশিট দেয়া ও উস্কানিতে সরাসরি অংশ নেয়া আইনজীবীদের হত্যা মামলায় আসামি করার দাবি জানিয়েছেন সিনিয়র আইনজীবীরা।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় আইনজীবীদের আত্মসমর্পণ ঘিরে পুরো আদালত পাড়ায় নেয়া হয় নজিরবিহীন নিরাপত্তা। শুনানি পর্যন্ত আদালত পাড়ায় নিয়ন্ত্রণ করা হয় সাধারণের চলাচল।