অপরাধ ও আদালত
0

তারেক রহমানের চার মামলা বাতিলের রায় আপিল বিভাগে বহাল

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে থাকা আরো চারটি মামলা বাতিল করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বিগত ১৯ বছরে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৮২টি মামলা হয়েছে। এখনো ১৮টি মামলা নিষ্পত্তি হয়নি। আগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ৬৪টি মামলা থেকে অব্যাহতি কিংবা খালাস পেয়েছেন তারেক রহমান। তবে তার দেশে ফেরার সঙ্গে মামলার সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।

২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেপ্তার হয়ে ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হন তারেক রহমান। এক পর্যায়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডন যান বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।

ওয়ান ইলেভেনের আমলসহ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৮২টি মামলা হয়। অর্থ পাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে দণ্ডিত তিনি।

গেলো বছরের ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বদলে যায় দেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপট। বিএনপির আইনজীবীরা তারেক রহমানের মামলা নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ করা গ্রহণ করেন।

২০০৭ সালে তার বিরুদ্ধে রাজধানীর চারটি থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেন একজন ব্যবসায়ী। ১৯ বছর ধরে এইসব মামলার বিচার শেষ হয়নি। একইসঙ্গে মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করা ছিল হাইকোর্ট। গত ২৩ অক্টোবর উচ্চ আদালত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে থাকা চারটি মামলা বাতিল করে দেন।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। রোববার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চ মামলা বাতিলের রায় বহাল রেখে আদেশ দেন। তারেক রহমানের আইনজীবী বলেন, চাঁদাবাজির মামলার সঙ্গে তারেক রহমানের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এখনো ১৮টি মামলা বিচারাধীন আছে। তারেক রহমানের দেশে আসার প্রশ্নে তার আইনজীবী বলেন, সময় ও সুযোগ বুঝে তিনি দেশে আসবেন।

তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে থাকা মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। দণ্ড থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াও।

এএইচ