গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার অভিযোগে মধুপুর থানায় দায়েরকৃত মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষ হয় রোববার। পরে আব্দুর রাজ্জাককে বিকেল ৪টায় টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতের বিচারক মাহমুদুল মোহসীন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে তাকে আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে করে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে গত ১১ নভেম্বর আব্দুর রাজ্জাককে টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে টাঙ্গাইল শহরে গত ৫ আগস্ট গুলিতে নিহত স্কুলছাত্র মারুফ হত্যা মামলা, মির্জাপুরে গত ৩ আগস্ট গুলিতে নিহত কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলা এবং গত ৪ আগস্ট মধুপুর উপজেলা সদরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ওই তিনটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে পুলিশ রিমান্ড আবেদন করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতগুলো থেকে তাকে পাঁচ দিন করে মোট ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর প্রথমে আব্দুর রাজ্জাককে টাঙ্গাইল সদর থানায় স্কুল ছাত্র মারুফ হত্যা মামলায় রিমান্ডে নেয়া হয়। সেখানে পাঁচ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পরে ১৫ নভেম্বর ইমন হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মির্জাপুর থানায় নেয়া হয়। সর্বশেষ গত ২০ নভেম্বর মধুপুর থানায় নেয়া হয় তাকে। সেখানে গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পুলিশ বিভাগ সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের সময় আব্দুর রাজ্জাক মারুফ হত্যা, ইমন হত্যা এবং মধুপুরে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার সাথে তার কোনো প্রকার সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন। তিনি এসব মামলায় আদালতে জবানবন্দি দেবেন না বলেও পুলিশকে জানান।
আব্দুর রাজ্জাকের আইনজীবী টাঙ্গাইল জেলা অ্যাডভোকেট বারের সভাপতি একেএম শামীমুল আক্তার জানান, আব্দুর রাজ্জাকের জামিনের জন্য তারা আবেদন করেন নি। আগামী ধার্য তারিখে জামিনের আবেদন করা হবে।