তিনি বলেন, 'সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান অসুস্থ হয়ে কারাগার থেকে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আমরা আদালতকে সব কিছু বুঝিয়ে বলেছি আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রীর বয়স ও অসুস্থতা বিবেচনা করে ২০ হাজার টাকা বন্ড দিয়ে তাকে জামিন দিয়েছেন। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।'
তবে মান্নানের জামিন শুনানির সময় আদালতে বাদীপক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন না। বাদী পক্ষের আইনজীবী মাশুক আলম বলেন, 'হঠাৎ করে সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রীর জামিন শুনানির দিন ঠিক করা হয়। আমরা সকালে তার বিরোধীতা করলে আদালতের বিচারক এজলাস ছেড়ে চলে যান। পরে তিনি দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে আবারও শুনানির কথা বললে আমরা সেই শুনানিতে উপস্থিত না হয়ে বয়কট করেছি। আদালত এক পক্ষের কথা শুনে সাবেক এই মন্ত্রীকে জামিন দিয়েছেন যা দুঃখ জনক।'
এর আগে সকালে শুনানি নিয়ে জেলা দায়রা জজ আদালতে পক্ষে-বিপক্ষে আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল হয়। একপর্যায়ে এজলাস ছাড়েন জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক হেমায়েত উদ্দিন। আদালতের বিচারক নেমে যাওয়ায় তখন জামিন শুনানি হয়নি।
সকালে বাদীপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর) বিকেলে সুনামগঞ্জের দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক নির্জন মিত্রের আদালত থেকে সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের মামলাটি (মিস কেইস) বদলি করে জেলা দায়রা জজে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু আইন অনুযায়ী এই মামলার তারিখ চলতি মাসের ১৪ থেকে ১৫ তারিখ শুনানির কথা। কিন্তু আজকে হঠাৎ করে আদালতে এসে শুনি সাবেক এই মন্ত্রীর জামিন শুনানি আজ। তাই আমরা আদালতে এসে এর বিরোধিতা করলে আদালতের বিচারক মো. হেমায়েত উদ্দিন এজলাস ছেড়ে চলে যান।
এদিকে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী শেরনুর আলী সকালে বলেন, 'আমরা জানি না আজকে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় কারাগারে থাকা সাবেক মন্ত্রীর জামিন শুনানি। আমরা আদালতকে বাজানোর চেষ্টা করার সময় মন্ত্রীর পক্ষের আইনজীবীরা আমাদের সাথে তর্ক শুরু করে এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল শুরু হলে আদালতের এজলাস ছেড়ে বিচারক চলে যান। পরে জানানো হয়, ২টা ৩০ মিনিটে আবারও শুনানি হবে। কিন্তু সেই শুনানিতে বাদী পক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত থাকবে কি না পরে জানানো হবে।'
তবে আজকের জামিন শুনানি ও হট্টগোলের বিষয়ে বিবাদীপক্ষের মন্তব্য চাওয়া হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি তারা।
গত ২ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত এক শিক্ষার্থীর ভাই হাফিজ আলী বাদী হয়ে ৯৯ জনকে সুনামগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক নির্জন মিত্রের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মূলত এই মামলায় কারাগারে আছেন সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী।