আজ (সোমবার, ৭ অক্টোবর) তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মোরাদুল ইসলাম তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর দিবাগত মধ্যরাতে রাজধানীর বংশাল থানাধীন এলাকা থেকে হাজী সেলিমকে আটক করা হয়। এরপর ২ সেপ্টেম্বর দশ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অন্যদিকে গত ১৪ আগস্ট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন রাজধানীর পল্টনে কামাল মিয়া নামে এক রিকশাচালককে হত্যা মামলায় তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
হাবিবুর রহমান মানিককে ২২ আগস্ট লালবাগ থানার কেল্লার মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আজিমপুরে কলেজছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহকে হত্যার মামলায় পরের দিন ২৩ আগস্ট পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, ১৬ বছরের কিশোর রাকিব হাওলাদার চকবাজারের হোসনী দালানস্থ কাজল প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করতো। ৫ আগস্ট দুপুরে সে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করে।
মিছিলটি চানখারপুল পৌঁছালে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিলে গুলি বর্ষণ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয় রাকিব। তাকে মিডফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় তার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন মামলা দায়ের করেন। মামলায় হাজী সেলিম এক নম্বর, সৈকত ও মানিক এজাহারনামীয় আসামি।