সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ওসমান হাদির মরদেহ

সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ওসমান হাদির মরদেহ
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ওসমান হাদির মরদেহ | ছবি: এখন টিভি
1

জানাজার জন্য ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নেয়া হয়েছে। আজ (শনিবার, ২০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় তার মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের হিমঘর থেকে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নেয়া হয়। বাদ জোহর দুপুর ২টায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক নিউরো সার্জন ডা. আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন, ওসমান হাদির জানাজা পড়াবেন তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।

তিনি জানান, হাদির দাফন করা হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে। সেখানে তার কবর প্রস্তুত করা হচ্ছে।

হাদির জানাজা ঘিরে সকাল থেকে সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করে মানুষ। ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তল্লাশির পর ঢুকতে দেয়া হচ্ছে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে।

সকাল থেকেই সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সড়কটির দুই প্রান্তে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

আরও পড়ুন:

এরই মধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে জানাজায় অংশ নিতে ওই এলাকায় আসতে শুরু করেছেন অনেকে।

সরকারের পক্ষ থেকে গতকালই জানানো হয়, আজ দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শরিফ ওসমান হাদির জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর মরদেহ নেয়া হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা এবং তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের কাছেই তাকে সমাহিত করা হবে।

এর আগে, গতকাল (শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ওসমান হাদির মরদেহ দেশে আসে। এর পর তা রাখা হয় জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের হিমঘরে।

গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে প্রকাশ্যে দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ওসমান হাদি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয় তাকে।

উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে নেয়া হয় সিঙ্গাপুরে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল; দীর্ঘ এক যাত্রা, যার শেষটা আর দেশে ফেরা হলো না। তিন দিনের জীবন-মৃত্যুর লড়াই শেষে হার মানেন এই তরুণ নেতা।

এসএস