অপরাধ ও আদালত
0

‘পুলিশ বাহিনীর সংস্কার চেয়েছিলাম, অথচ আমাদেরই হয়রানি করা হচ্ছে’

আত্মপক্ষ সমর্থনে আদালতে দুই পুলিশ সদস্যের বক্তব্য

পুলিশ বাহিনী সংস্কারের দাবি করার পর মামলার মাধ্যমে হয়রানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই পুলিশ সদস্য। তারা হলেন, শোয়াইবুর রহমান ও সজিব সরকার। আজ (শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের ‍সুযোগ দেয়া হলে তারা এ কথা জানান।

পুলিশ সদস্য দুইজন আদালতের কাছে বলেন, ‘আমরা যৌক্তিকভাবে পুলিশ বাহিনী সংস্কারের দাবি জানিয়েছিলাম। অন্যায় কিছু করিনি। অথচ আমাদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা ন্যায় বিচার চাই।’

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অভিযোগে এ দুই পুলিশ সদস্যকে ফের তৃতীয় দফায় দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোশাররফ হোসেন এ আদেশ দেন।

এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. খায়রুল ইসলাম ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এসময় আদালতে বাদীপক্ষের আইনজীবীরা ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘দুই দফায় রিমান্ডে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তাই তাকে নতুন করে ৫দিনের রিমান্ড প্রয়োজন।’ তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিন চান। এরপর আদালত আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিলে পুলিশ সদস্যরা তাদের কথা জানান।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শোয়াবুর রহমান জয় ও সজিব সরকার গত ৬ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময় তাদের ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন শ্রেণি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টসহ জনসাধারণের সেবা বাধাগ্রস্ত করার জন্য উসকানিমূলক বার্তা পোস্ট করে। যা জনশৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনো কাজে বা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সুবিধার্থে ব্যবহার হতে পারে।

এ ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা খুঁজে বের করা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের বিষয় ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে মাস্টার মাইন্ড কারা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মত একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীতে অরাজকতা বা বিশৃঙ্খল সৃষ্টি করার কারণ উদ্‌ঘাটন ও অর্থ দাতাদের খুঁজে বের করার জন্য মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করা প্রয়োজন।

এএইচ