দেশে এখন
অপরাধ ও আদালত
0

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেনো অবৈধ নয় জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল

জাতীয় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেনো অবৈধ নয় জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ (সোমবার, ১৯ আগস্ট) ‍সকালে এ রুল জারি করা হয়।

সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, পঞ্চদশ সংশোধনী সংবিধানের মূল কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

২০১১ সালের ৩০ জুন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী সংসদে পাস করে। এই সংশোধনীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনকের স্বীকৃতি দেয়া হয়। একইসঙ্গে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৪৫ থেকে ৫০ করা হয়।

ভবিষ্যতে যাতে কেউ অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা গ্রহণ করতে না পারে সেই পথও রুদ্ধ করা হয় এই সংশোধনীতে। এসব বিষয়কে চ্যালেঞ্জ করে তিন বিশিষ্ট নাগরিক ড. বদিউল আলম মজুমদার, হাফিজউদ্দিন আহমদ ও ড. তোফায়েল আহমেদ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

সোমবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার চৌধুরী ও বিচারপতি শশাংক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটের ওপর শুনানি করে রুল জারি করেন।

আদেশে বলা হয়, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেনো বাতিল করা হবে না? পরে রিটকারী আইনজীবী বলেন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে এই রিট।

রিটকারীদের আইনজীবী শরিফ ভুঁইয়া বলেন, ‘এই পঞ্চদশ সংশোধনীর কারণে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন সবাই। দশম একাদশ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে ভোট দেয়া যেত। কিন্তু যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দেয়া হয় সে কারণে নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি।’

রিটকারী বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘বিগত শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে ও স্বেচ্ছাচারিতার মানসিকতা পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করে।’

তিনি বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেন নি। আদালত করেছে। আদালত বলেছে পরবর্তী নির্বাচন যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হয় তাহলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। এটা সম্পূর্ণরুপে মিথ্যাচার।’

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে সংবিধানের মূল কাঠামোতে আঘাত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো বিষয় নিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনী হয়েছে। তার মধ্যে একটা হয়েছে ৭ এর ক। এর মাধ্যমে তারা এমন একটা বিষয় তৈরি করেছে যে, ভোট ডাকাতি করে থাকতে পারছেন। কিন্তু অন্য কোনোভাবে কেউ যেন না আসতে পারে।’

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যও অনেক ছোট ছোট বিষয় দিয়ে দেয়া হয়েছিল।’

পঞ্চদশ সংশোধনীর কারণেই নির্বাচিত সরকারের অধীনে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন করার আইনি ক্ষমতা পেয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার।

tech

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর