পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চল ভবানিপুর গ্রামে পতিত সরকারের আমলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ১১০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। এসব ঘরে আশ্রয় নেয় গৃহহীন, ভূমিহীন ও নিম্ন আয়ের মানুষরা। তবে প্রকল্পটি ধীরে ধীরে লোকশূন্য হয়ে পড়ছে।
সত্তরোর্ধ্ব আব্দুল করিম সরদার জীবনের টানাপোড়েনে ভূমি ও গৃহহীন হয়ে মাথা গোজার একটুখানি ঠাঁই খুঁজে পেয়েছিল এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে। তবে স্থানীয় প্রভাবশালী ও বখাটেদের উৎপাত আর শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হয়ে ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
আব্দুল করিম বলেন, ‘সেখানে অত্যাচারে সবাই উঠে চলে গেছে। ১০ থেকে ১২ ঘরে মানুষ আছে। প্রভাবশালী ও বখাটেরা এসে নানাভাবে অত্যাচার করে তাদের। তাই সবাই চলে গেছে।’
শুধু আব্দুল করিমই নন, একই গল্প এসব ঘরে আশ্রয় নেয়া শতাধিক পরিবারের। তাদের বেশিরভাগই সরে যাওয়ায় প্রভাবশালীরা দখল করেছেন ঘরের আঙিনা। গুটি কয়েকজন বসবাস করলেও নেই চলাচলের যোগ্য রাস্তা।
আরও পড়ুন:
আশ্রয় নেয়া মানুষরা জানান, কোনো রাস্তা নেই। আশেপাশে কোনো বিদ্যালয় নেই। তাই অনেক মানুষ চলে গেছে। সেখানে তাদের কোনো নিরাপত্তা নেই বলেও জানান তারা।
তবে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান জানান, কী কারণে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা ঘর ছাড়ছেন, তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘কী কারণে আশ্রয়ণ প্রকল্পে যাদের থাকার কথা তারা থাকছেন না, কোনো সমস্যা আছে কি না তা আমরা তদন্ত করে দেখবো। এমন কোনো বিষয় থাকলে তারা যদি আমাদের লিখিত চিঠি দেয় বা আমরা তদন্তে খুঁজে পাই তাহলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
স্থানীয়রা বলছেন, সঠিক পরিকল্পনার অভাব আর প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্যেই ঘর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা। এ বিষয়ে প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে-এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের।





