ভূমিকম্পের পর স্থানীয় প্রশাসন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সচেতনতামূলক বার্তা ছড়াতে শুরু করে। তবে রাত ১২টার পর আবার ভূমিকম্প হতে পারে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায়, খোলা মাঠে ও নিরাপদ মনে করা খোলা জায়গায় অবস্থান নেন।
নরসিংদী পৌর শহর ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে দলে দলে বের হয়ে বাইরে অবস্থান করতে দেখা যায়। কেউ কলেজ মাঠে অবস্থান করেন, আবার অনেকেই নিজ ভবনের নিচতলায় নেমে আসেন।
এদিকে, প্রথম দফায় ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। অপরদিকে স্কুল কলেজসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এরকমও একটি গুজব উঠে নরসিংদীতে।
আরও পড়ুন:
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু ভবন পুরাতন হয়ে যাওয়া এবং নরসিংদীর কলেজ পাড়া ব্রাহ্মন্দী বালুরচরে কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে একই সঙ্গে গাদাকাটি করে গড়ে ওঠা প্রায় অর্ধশত কোচিং সেন্টার, কলেজ ও স্কুল ঝুঁকিতে আছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বলা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কথা হয় সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আকরাম হোসেনের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের এখনো পর্যন্ত কোনো নোটিশ আমরা পাইনি। তবে আজ দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি সভা রয়েছে তারপর কোনো সিদ্ধান্ত আসলে সেটা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হবে।’
নরসিংদীর জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং দ্রুতই তাদের বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যার উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী।
এরপর শনিবার সকালে দ্বিতীয় দফায় ৩.৩ মাত্রা এবং সন্ধ্যায় তৃতীয় দফায় ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সেগুলোরও উৎপত্তিস্থল নরসিংদী।





