স্থানীয় বাসিন্দা আলি হাসান বলেন, সন্ধ্যায় নাচোল থানার উপ-পরিদর্শত (এসআই) আতাউর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল হাঁকরইলে মাদকবিরোধী অভিযানে যান। এ সময় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর একটি বাড়ি থেকে স্থানীয়ভাবে তৈরি চোরাই মদ উদ্ধার করেন তারা। তবে ওই ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেননি।
পরে মজিবুর রহমান নামে একজনকে আটক করেন এবং ঘটনাস্থলে তাকে থাপ্পড় মারেন এসআই আতাউর রহমান। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ মজিবুর রহমান মাদকের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তবুও হ্যাণ্ডকাপ পরিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়িতে তোলেন। এ সময় গ্রামবাসী চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে পুলিশ সদস্যদের।
আরও পড়ুন:
নাচোল ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সাদিকুল বলেন, মজিবুর রহমান গ্রামের একজন সাধারণ কৃষক। তার সঙ্গে মাদকের কোনো সম্পৃক্ততাই নেই। অথচ তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা এবং দুর্ব্যবহার করলে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে অবরুদ্ধ করে।
এ ব্যাপারে নাচোল থানার ওসি শহিদুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা না বলেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে আবার কল দেয়া হয়ে তিনি রিসিভ করেননি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনএম ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়, বিষয়টি এমন নয়। মাদক উদ্ধারে গিয়ে একজনকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু স্থানীয়রা পুলিশকে জানায় ওই ব্যক্তি নিরপরাধ। মাদকের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা নেই। তখন তাকে ছেড়ে দিয়ে চলে আসে পুলিশ সদস্যরা।





