বাজারের এক পাশ থেকে আরেক পাশে সারি সারি রাখা হয় হাওরপাড়ের খামারিদের উৎপাদিত হাসের ডিম। হাওরপাড়ের অন্যতম বড় হাসের ডিমের বাজার সেখানে।
২৫ বছর ধরে মোহনগঞ্জে ডিমের ব্যবসা করছেন তরিকুল ইসলাম। প্রতি সপ্তাহেই মোহনগঞ্জসহ হাওরের আশপাশের বেশ কয়েকটি বাজার থেকে ডিম কিনেন তিনি। যা পরবর্তীতে সরবরাহ করেন বিভিন্ন বাজারে।
ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘শেখ বাড়ির মোর এখানে প্রতিসপ্তাহে হাট বসে। এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডিম আসে। আমরা তা ঢাকায় নিয়ে সাপ্লাই দেই। এখানে প্রায় দুই লাখ ডিম ওঠে।’
তরিকুলের মতো প্রতি বাজারে ডিম কিনে ব্যবসায়ীরা নিয়ে যান ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। যার ফলে প্রতি বাজারেই ওঠানামা করে ডিমের দাম। রাজধানীর বাজারের সঙ্গে মিলিয়ে দাম ঠিক করার কথা থাকলেও তা অনেকটাই নির্ভর মহাজনদের মর্জির ওপর।
মহাজনরা জানান, দামের ওঠা-নামা ঢাকার সঙ্গে সম্পর্কিত। ঢাকার বাজারে বাড়লে তারাও এখানে বাড়ায়।
আরও পড়ুন:
হাওরপাড়ে খোলা হাঁসের খামারে উৎপাদিত ডিমের বড় একটি অংশ আসে এ বাজারে। গত বছর যেখানে এসময় একশো হাঁসের ডিম এ বাজারে বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত। এবছর তা নেমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায়।
খামারিরা জানান, যে দামে হাসের ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে তাতে তাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। খামারিরা তাদের হাঁসের খাদ্য কিনতেই হিমশিম খাচ্ছেন।
খামারিরা যেন ন্যায্য দামে ডিম বিক্রি করতে পারে সেজন্য নিয়মিতই বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানালেন জেলার অতিরিক্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। ।
নেত্রকোণা অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাদিকুল ইসলাম বলেন, ‘মোহনগঞ্জে দুটি বড় বাজার রয়েছে, সেখানে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে থাকেন। খামারিরা ন্যায্যমূল্যে যেন ডিম বিক্রি করতে পারে সেই লক্ষ্যে বাজার পরিদর্শন করা হচ্ছে।’
জেলার হাওর বিস্তৃত ছয়টি উপজেলায় বাণিজ্যিক হাঁসের খামার রয়েছে ১ হাজার ২৬টি। যেখানে প্রতিমাসে হাঁস ও মুরগি মিলিয়ে ডিমের উৎপাদন হয় প্রায় ৩৫ লাখ পিস।




