পরে বিভিন্ন বাড়িতে শেয়ালের কামড়ে এসময় ওই গ্রামের অন্তত ১৭ জনকে আহত করে। রাতে গুরুতর আহত সাতজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের সূর্যকান্ত হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া বেশ কয়েকজনের অবস্থা অবনতি হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের প্রেরণ করা হয়। এছাড়া সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে শিয়ালের কামড়ে আহতদের ক্ষত বেশি থাকায় আরআইজি ভেকসিন বাইরে থেকে কিনে চিকিৎসা নিতে হয়েছে রুগীদের। সরকারি হাসপাতালে জলাতঙ্কের ভেকসিন না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন রুগীসহ স্বজনরা।
আরও পড়ুন:
এ বিষয়ে সংক্রামক ব্যাধির সূর্যকান্ত হাসপাতালে কর্তব্যরত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক মাইক্রোবায়লজি (ইনসিটু) এসকে ডা. আনোয়ারুল আজিম এখন টিভিকে জানান, শিয়ালে কামড়ানো বেশিরভাগ রোগীর ক্ষত বেশি থাকায় ক্যাটাগরি তিন এর আরআইজি ভেকসিন দরকার। তবে এক মাস ধরে এস-কে হাসপাতালে ভ্যাকসিনটি সংকট থাকায় বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়েছে রুগীদের।
তবে ভ্যাকসিনের চাহিদা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এ চিকিৎসক।
শীতকালে শিয়াল, কুকুরসহ বিভিন্ন পশুপাখির কামড়ে জলাতঙ্ক হবার আশঙ্কা থাকে বেশি । তাই কামড়ের পর ভেকসিন নিতে হাসপাতালে থাকে ভিড়। সবদিক বিবেচনায় নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতগুলোতে এ মৌসুমে জলাতঙ্কের টিকার পর্যাপ্ত মজুত রাখার পরামর্শ সাধারণ রোগীদের।
