নিহত মোহাম্মদ ইউনুস সিকদার টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের চান্দলিপাড়ার মৃত হাজী মোহাম্মদ কাসেমের ছেলে। তিনি সাবরাং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডেরে ইউপি সদস্য ছিলেন এবং আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদ টেকনাফ উপজেলা শাখার সভাপতি।
ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর জানান, ব্রিজের নীচে পানিতে ভাসমান অবস্থায় একজন পুরুষের মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পানি থেকে উপরে তুলে শনাক্ত করে নিহতের নাম মোহাম্মদ ইউনুস সিকদার। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গ পাঠিয়েছে।
ওসি জানান, নিহতের স্বজন, এলাকার লোকজন এবং রাজনৈতিক নেতাদের দেয়া বক্তব্য মতে কোনো ধরনের লেনদেন সংক্রান্ত পাওনা টাকা আদায়ের জন্য এই হত্যা করে থাকতে পারে মর্মে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আরও তথ্য অনুসন্ধান, জড়িত দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার প্রচেষ্টা ও অন্যান্য আইনি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন:
টেকনাফ পৌর বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালাম বলেন, ‘আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইউনুস সিকদারকে কমিটির কথা বলে রঙ্গিখালী মো.আলম সবুর মিয়ার আমন্ত্রণে মঙ্গলবার ৪ (নভেম্বর) রাতে ওখানে যান। সবুর মিয়া সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এরপর পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ ব্রিজের নিচের পেলে দেয়া হয়। ঘটনার পর সবুর মিয়া পালাতক রয়েছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রঙ্গিখালী এলাকার এক প্রবীণ ব্যক্তি জানান, মোহাম্মদ ইউনুছ প্রায়শই সবুর মিয়ার বাড়িতে আসা-যাওয়া করেন। সবুর মিয়া, আবছার উদ্দিন, আনোয়ার হোসাইন ওরফে লেটাইয়্যা, মিজানুর রহমান ওরফে বাড়ু মিজানসহ কয়েকজন মিলে এলাকার দোকানে আড্ডাও দিতেন। গত কয়েকদিন ধরে ইয়াবা সংক্রান্ত পাওয়া টাকার বিরোধের জের ধরেই এদের মধ্যে প্রকাশ্যে কথা কাটা-কাটির ঘটনা শুনা গেছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে সবুর মিয়ার বাড়িতে ইউনুছকে আটকে ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়। মারা যাওয়ার পর মরদেহ ব্রিজের নিচে রেখে বাড়িতে তালা দিয়ে সবুর মিয়াসহ সকলেই পালিয়ে গেছে।
ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর জানান, পাওয়া টাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে কী লেনদেনের টাকা জানা যায়নি। যাদের নাম বলা হচ্ছে তাদের ধরতে চেষ্টা চলছে। নিহতের শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।





