রোববার (২ নভেম্বর) রাত সোয়া ৯টায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের সড়কে স্থানীয় বিএনপি নেতা মামুন এর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোঁড়ে। এসময় বোমা হামলায় নিহত হন মাদ্রাসা শিক্ষক এমদাদুল হক। আহত হন মামুনসহ তিনজন। এ ঘটনার পর থেকেই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এলাকাবাসীরা জানান, তারা শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন বলে জানান স্থানীয়রা। হত্যার ঘটনায় শোকে স্তব্ধ শিক্ষক ইমদাদুল হকের পরিবার। স্বামীর মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নিহতের পরিবার।
এমন ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় বক্তারা, অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
আরও পড়ুন:
খুলনা মহানগর বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘দিবালোকে মানুষকে হত্যা করে নির্বিঘ্নে চলাফেরা করে। প্রশাসন বসে থাকে এটি কখনো সভ্য দেশে মেনে নেয়া যায় না।’
এদিকে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা ও আসামিদের গ্রেফতার করতে পারিনি পুলিশ। পুলিশ বলছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তবে, জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ উপ-পুলিশ কমিশনার তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল থেকে তিনটি খোসা খুঁজে পেয়েছি। বুলেটের মাথা আমরা পেয়েছি। ৭৪ পিছ ককটেলের কাঠি উদ্ধার করেছি। খুলনায় এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটেছে। এরইমধ্যে আমরা এ বিষয় নিয়ে কাজ করছি। আমরা পারব এদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে।’
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আরংঘাটা এলাকায় গত এক বছরে তিনটি হত্যাকাণ্ড হলো।





