বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেল-বিমানবন্দর প্রকল্পে নেই অগ্রগতি, দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি

উত্তর জনপদের রেল লাইন
উত্তর জনপদের রেল লাইন | ছবি: এখন টিভি
0

রাজধানীর সঙ্গে বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ এবং বগুড়া বিমানবন্দর চালুর কথা থাকলেও বাস্তবায়নে নেই অগ্রগতি। যাতায়াত এবং পণ্য পরিবহন সহজ করতে প্রকল্প দুটি দ্রুত বাস্তবায়ন চান উত্তরের মানুষ।

বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প, রেলওয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে, ২০১৮ সালে একনেক সভায় পাস হয় প্রকল্পটি। ভারত সরকারের অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলেও পরবর্তীতে অর্থায়ন না করায় মুখ থুবড়ে পরে প্রকল্পটি।

সম্প্রতি সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ রেলপথ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। এরইমধ্যে ৯৬০ একর জমি অধিগ্রহণ চলছে। এ রেললাইন নির্মাণ হলে উত্তর জনপদের সঙ্গে ঢাকার দূরত্ব কমবে ১১২ কিলোমিটার। ভ্রমণে সময় কমবে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা।

ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘পিছিয়ে পড়া এ বগুড়ার মানুষকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে, যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে হবে।’

স্থানীয়দের একজন বলেন, ‘আমি মনে করি এ অঞ্চলের মানুষ ঢাকা কেন্দ্রিক যারা থাকেন তাদের পণ্য সহজলভ্য হবে।’

রেল কর্মচারীদের একজন বলেন, ‘এ ট্রেনগুলো শান্তাহার, নাটোর, বড়াল ব্রিজ দিয়ে ঘুরতে প্রায় ৩ ঘণ্টার মতো সময় লাগে। বগুড়া থেকে রেল লাইন স্থাপন হলে কম সময় লাগবে।’

আরও পড়ুন:

২০০০ সালে বগুড়া সদর উপজেলার বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে এরুলিয়া এলাকায় স্থাপন করা হয় বগুড়া বিমানবন্দর। এরপর প্রায় দুই যুগ ধরে পাইলট প্রশিক্ষণ স্কুল হিসেবে বিমানবাহিনী এ বিমানবন্দরটি ব্যবহার করছে। অন্তর্বর্তী সরকার এ বিমানবন্দরের রানওয়ে বাড়ানোর বিষয়ে উদ্যোগ নিলেও তা থেমে আছে। যোগাযোগের স্বার্থে জরুরি প্রয়োজনে এ এয়ারপোর্ট চালুর পরামর্শ সুধী সমাজের।

সুশীল সমাজরা জানান, বিভিন্ন জাপানিজ, চাইনিজ প্রযোজক যারা প্রাচীন প্রদর্শন মহাস্থানগড় দেখতে যায় তারা বাস নিয়ে আসে, বিমান যোগাযোগ সহজ হলে তাদের সময় বাঁচত বলে জানান তারা।

বগুড়া সিরাজগঞ্জ রেলরুটের অগ্রগতি দৃশ্যমান থাকলেও বিমানবন্দরে রক্ষণাবেক্ষণের কাজের পর অভ্যন্তরীণ বিমানে চলাচলের জন্য বর্ধিত রানওয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কিংবা অর্থ বরাদ্দ কিছুই হয়নি বলে জানান জেলা প্রশাসক।

বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনে আফরোজা বলেন, ‘বগুড়া বিমান বন্দরটি তিনটি ধাপে বাস্তবায়ন করার কথা ছিলো। প্রথম ধাপ বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। বগুড়ার জনসাধারণের জন্য আনন্দের খবর বয়ে নিয়ে আসবে যখন দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়ন হবে।’

নতুন রেলপথ ও বিমান বন্দর স্থাপনের মাধ্যমে সমাধান খুঁজছে এ এলাকার মানুষ।

এফএস