অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আশুগঞ্জ উপজেলা খাদ্যগুদাম সংলগ্ন রেলওয়ের পুকুর এবং পুকুরপাড় বাণিজ্যিক ইজারা পান স্থানীয় সোনারামপুর গ্রামের বাসিন্দা ও আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন। রেলওয়ের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কার্যালয় থেকে আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর মৌজার ৫/১ বিএস খতিয়ানের ৮৮ (অং) বিএস দাগের পুকুরপাড়ের পূর্ব-উত্তর দিকের ২০ ফুট প্রস্থ ও ৯০০ ফুট দৈর্ঘ্যের মোট ১ হাজার ৮০০ বর্গফুট জায়গা ইজারা পান সালাহ উদ্দিন।
কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলার মো. মজনু মোল্লা এবং তার ভাতিজা বিএনপি নেতা সফিকুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ৭-৮ ব্যক্তি সালাহ উদ্দিনের ইজারা নেয়া জায়গার দক্ষিণ সীমানার দিকে দুটি ঘর নির্মাণ করে প্রায় ৩০ ফুট জায়গা দখল করেন।
আরও পড়ুন:
দখলের ঘটনায় সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম গত রোববার আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং গত সোমবার কুরিয়ার সার্ভিসে মাধ্যমে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তিনি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আশুগঞ্জ থানার ওসিকে সরেজমিনে পরিদর্শন করে ইজারার জায়গায় গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অনুরোধ জানান।
মনোয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘২০২৪ সালের ৩১ জুলাই রেলওয়ের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কার্যালয় থেকে প্রতিনিধি দল আশুগঞ্জ সদর ভূমি কার্যালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে নকশা মোতাবেক সীমানা নির্ধারণ করে দেন। এরপরও মজনু মোল্লা ও তার ভাতিজা সফিকুল তার স্বামীর ইজারা নেওয়া জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। সফিকুলসহ বাকি অভিযুক্তরা আরও ২০ ফুট জায়গা দখলে নেয়ার চেষ্টা করছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে মজনু মোল্লা বলেন, ‘আমি কারও জায়গা দখল করিনি। পুকুরের দক্ষিণ দিকে জায়গা আমি ইজারা পেয়েছি। ১৯৯৪ সাল থেকেই এই জায়গার ইজারা আমার নামে। বিদ্যুতের খুঁটি পর্যন্ত আমার ইজারাপ্রাপ্ত জায়গায়।’
তবে দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা সফিকুল ইসলাম জানান, ঘর নির্মাণ করা জায়গাটি তার চাচা মজনু মোল্লার নামে ইজারা নেয়া। ইজারার টাকা তিনি পরিশোধ করেছেন। দখলের অভিযোগ সত্য না।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের এখতিয়ার প্রশাসনের।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফে মোহাম্মদ ছড়া বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’





