আজ (সোমবার, ২৭ অক্টোবর) দুপুরে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কক্ষে কাপ্তাই হ্রদের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে, রাঙ্গামাটি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মোবারক হোসেনের সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রুহুল আমীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) ফারাহ শাম্মী।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন— জেলা সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসা, জেলা জামায়াতের আমির মো. আব্দুল আলীম, জেলা জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম বাচা, জেলা এনসিপি’র সমন্বয়কারী মো. জাহিদুল ইসলাম, নাগরিক পরিষদ প্রতিনিধি এম এ বাশার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি সায়েদা ইসলাম সাদিয়া, জেলা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর শুক্কুর, পেশাজীবী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মোহর আলীসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিএফডিসির কর্মকর্তারা।
সভার শুরুতে কাপ্তাই লেকের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন জেলা বিএফডিসি’র ব্যবস্থাপক কমান্ডার মোহাম্মদ ফয়েজ আল করিম।
আরও পড়ুন:
উপদেষ্টা সাংবাদিকদের আরো বলেন, ‘কাপ্তাই লেক রক্ষার জন্য প্রথম কাজ হচ্ছে ড্রেজিং করা এবং এটি এখানকার সকলের দাবি। তাছাড়া কাপ্তাই লেকে দূষণের পরিমাণও দিনদিন বাড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘এখানে লেকে পয়ঃনিষ্কাষনসহ যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। দূষণের ব্যাপারে স্থানীয় সরকার, পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও আরো যারা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে কী করা যায়, সে ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কাপ্তাই লেকে পলি জমে যাওয়ার কারণে পলি পড়ে জমে যাচ্ছে। ফলে পানির স্তর কমে যাওয়ায় পানির ওপরের স্তরে বড় মাছগুলো থাকতে পারছে না। এ কারণে লেকে ছোট মাছের আধিক্য বেড়েছে এবং বড় মাছ কমে যাচ্ছে।’
লেকটিকে রক্ষা করতে সরকারের পাশাপাশি সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।





