শেরপুর সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম ৭ নম্বর চর। দশানী নদী তীরের এ গ্রামে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চারটি মাদ্রাসা, মসজিদ ও একটি বড় বাজার থাকলেও যাতায়াতের একমাত্র পথে দীর্ঘদিনেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
বেশ কয়েক বছর আগে চৌধুরী বাড়ি মোড় থেকে সাহাব্দীরচর পর্যন্ত পৌনে এক কিলোমিটার রাস্তা পাকা হলেও পরের ৪ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক থাকায় যাতায়াতে গ্রামবাসীকে পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। বর্ষা মৌসুমে হাঁটুসমান কাদা মাড়িয়ে যেতে হয় জেলা সদরসহ বিভিন্ন জায়গায়।
স্থানীয়রা জানায়, এলজিইডির অধীনে ২০২৩ সালে সড়কটি সংস্কারে ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার বরাদ্দ আসে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে দরপত্রের মাধ্যমে কাজ শুরু করে ভাটি বাংলা এন্টারপ্রাইজ এবং বরেন্দ্র এন্টারপ্রাইজ নামে দুই ঠিকাদার। এরপর গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কাজ অসম্পূর্ণ রেখে পালিয়ে যায় ঠিকাদার।
গত ১৫ মাস খুঁড়ে রাখা সড়কে তৈরি হয় বড় বড় গর্ত। এতে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত সড়কটি মেরামতের দাবিতে মানববন্ধনসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেয় স্থানীয়রা।
আারও পড়ুন:
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, চৌধুরী বাড়ি মোড় থেকে সাহাব্দীরচর পর্যন্ত রাস্তার অনেক খারাপ অবস্থা। রাস্তা দিয়ে পণ্য নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কৃষকদের। আবার সামান্য বৃষ্টি হলেই চলাচলের উপযোগী থাকে না রাস্তাটি। দ্রুত রাস্তাটি সংস্করণের দাবি স্থানীয়দের।
দ্রুত দরপত্র আহ্বান করে বাকি কাজ শেষ করার পাশাপাশি নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে বাকি রাস্তা সংস্কারের পরিকল্পনার কথা জানায় এলজিইডি।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য হেডকোয়াটারে আমরা লিখেছি। হেডকোয়াটার থেকে অনুমোদন দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজটি বাতিল করে, রিমেইনিং যে কাজ বাকি আছে সেগুলো টেন্ডার করে আবার ঠিক করা হবে’।
জনগণের ভোগান্তি লাঘবে রাস্তার কাজ দ্রুত শুরু করতে এলজিইডিকে নির্দেশ দেয়ার কথা জানায় জেলা প্রশাসন।
শেরপুর জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা এলজিইডির সঙ্গে আলাপ করব। জানব কেন ঠিকাদার পলাতক আছেন। আর পলাতক থাকলে দীর্ঘদিন কাজটি বন্ধ থাকে তাহলে, তার টেন্ডার কার্যাদেশ বাতিল করে নতুন করে আবার টেন্ডার করা যায় কিনা এ বিষয়ে আমরা আলাপ করব। প্রয়োজন হলে আমরা ঢাকায় এলজিইডির সঙ্গে আলাপ করব।’





