পঞ্চগড়ে দেখা মিলছে মায়াবী কাঞ্চনজঙ্ঘার; দর্শনার্থীদের ভিড় উত্তরের সীমান্তে

পঞ্চগড়ে থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য
পঞ্চগড়ে থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য | ছবি: এখন টিভি
0

শরতের আকাশ স্থির হতেই পঞ্চগড়ে দেখা মিলছে ভারত ও নেপাল সীমান্তে অবস্থিত মায়াবী ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’। বাংলাদেশ থেকে হিমালয় পর্বতমালার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এ শৃঙ্গের মোহনীয় সৌন্দর্য উপভোগ করার একমাত্র জায়গা উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। মেঘমুক্ত খোলা আকাশের উত্তরে তাকালেই ধরা দেয় এ পর্বতশৃঙ্গ। যে কারণে প্রতিবছর অক্টোবর মাস শুরু হলেই ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’র সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় জমান দর্শনার্থীরা।

হিমালয় পর্বতমালার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’। আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে দূর পাহাড়ের এ সৌন্দর্য দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকেও দেখা যায় অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। যার মোহনীয় সৌন্দর্য উপভোগে প্রতি বছরই এ সময়ে তেঁতুলিয়ার ডাকবাংলোতে আসেন দর্শনার্থীরা।

শরতের মেঘমুক্ত আকাশে ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’র মোহনীয় সৌন্দর্য দর্শনার্থীর চোখে যেমন দেয় স্বস্তি তেমনি হৃদয়ে আনে প্রশান্তিও।

স্থানীয় দর্শনার্থী জানান, তারা প্রতিদিন এখানে আসেন তবে প্রতিদিন কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখাতে পাননা। তবে আজ তারা কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাচ্ছেন। নিজের দেশ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখাতে পেরে আনন্দিত দর্শনার্থীরা।

সূর্যের আলো পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ পর্বতশৃঙ্গের বরফখণ্ডও রঙ বদলায়। কখনো পোড়ামাটির বর্ণ, কখনো শ্বেতশুভ্র। যা দেখতে পর্যটক ও পাহাড়প্রেমীরা ছুটে আসেন পঞ্চগড়ে।

আরও পড়ুন:

দর্শনার্থীরা জানান, নেপালের আবহাওয়া সেই সঙ্গে আমাদের আবহাওয়া ভালো থাকায়, তারা এতো সুন্দর একটি দৃশ্য উপভোগ করতে পারছেন।

কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন ঘিরে জমে ওঠে স্থানীয় পর্যটন শিল্পও। যা এগিয়ে নিতে নানা পরিকল্পনার কথা জানান জেলা প্রশাসক।

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, ‘আমরা একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেছি। এ অ্যাপের মাধ্যমে টুরিস্টরা যেকোনো প্রান্তে বসে দেখতে পারবেন পঞ্চগড় জেলার কোথায় যাবেন, কোথায় থাকবেন, কীভাবে আসবেন। এ সকল তথ্য নিয়ে আমাদের পঞ্চগড় টুর অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে।’

জেলার সমতলের চা বাগান, বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট, মহারাজার দিঘী, ভিতরগড় দুর্গনগরী, মির্জাপুর শাহী মসজিদসহ দর্শনীয় স্থানগুলো প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে টানে।

এফএস