ঝালকাঠি-পিরোজপুরে জমজমাট সুপারির হাট

সুপারির হাট | ছবি: এখন টিভি
0

সুপারির জমজমাট হাট বসে ঝালকাঠি ও পিরোজপুরে। বিক্রেতার হাঁকডাক আর ক্রেতাদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠে লেবুবুনিয়া ও কাউখালীর সুপারির হাট। এবার দাম কিছুটা কম হলেও ভালো ফলনে সন্তুষ্ট চাষিরা। ফলে দিন দিন জেলায় সুপারি চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ঝালকাঠি ও পিরোজপুরে সুপারির ভালো ফলন হয়েছে। প্রতি কুড়ি বা ২১০টি সুপারি বিক্রি হচ্ছে তিনশো থেকে চারশো টাকায়। দাম কিছুটা কম হলেও ভালো ফলনে সন্তুষ্ট চাষিরা।

ঝালকাঠির লেবুবুনিয়া ও পিরোজপুরের কাউখালীসহ দুই জেলার বিভিন্ন হাটে প্রতিদিন প্রায় চার থেকে পাঁচ কোটি টাকার সুপারি বেচাকেনা হয়। এখানকার উৎপাদিত সুপারি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। চাষিরা বলছেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় সুপারি চাষে ঝুঁকি ও উৎপাদন খরচ কম। রোগ-বালাই বা পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় সুপারি চাষে তাদের আগ্রহও বাড়ছে দিন দিন।

ক্রেতারা জানান, এ বছর সুপারির উৎপাদন বেশি হওয়ায় আমরা কম দামে সুপারি কিনতে পারছি। পাশাপাশি আমরা ভালো লাভের আশা করছি।

আরও পড়ুন:

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সুপারির ফলন হয়েছে ভালো। বাজারদর স্থিতিশীল থাকলে চাষিরা আরও লাভবান হবেন।

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে চেষ্টা করছি আমরা যেন সুপারির সুপরিকল্পিত চাষাবাদ করতে পারি। আমাদের অর্থনীতিতে যেন আরও অবদান রাখতে পারে সেভাবে চাষ করার জন্য আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি।’

ফলন ভালো হওয়ায় দুই জেলায় প্রায় ৪৫০ কোটি টাকারও বেশি সুপারি বেচাকেনা হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

এফএস