নওগাঁয় খাবার খেয়ে মাদ্রাসার অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী হাসপাতালে

অসুস্থ শিক্ষার্থী হাসপাতালে
অসুস্থ শিক্ষার্থী হাসপাতালে | ছবি: এখন টিভি
0

নওগাঁর পোরশায় আল-জামিয়া-আল আরাবিয়া দারুল হিদায়াহ মাদ্রাসার অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে আজ (বুধবার, ৮ অক্টোবর) ভর্তি করা হয়। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের বয়স ৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। সবাই হেফজ, কুতুবখানা ও পাঠাগার বিভাগের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিষ্ঠানটিতে ১ হাজার ৬০০ জন আবাসিক শিক্ষার্থী রয়েছে। এছাড়া শিক্ষক-কর্মচারী আছে প্রায় শতাধিক। প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাতেও খাবার খেয়ে ঘুমাতে যায় শিক্ষার্থীরা। মাঝরাত থেকে কিছু শিক্ষার্থী পেটে ব্যথা অনুভব করতে শুরু করে। পরে তাদের বমি ও ডায়রিয়া শুরু হয়। ওই রাতেই ২০ জন শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।

বুধবার সারাদিনে ৪৩ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ঘটনার পর আগামী ১০ দিনের জন্য মাদ্রাসা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মঙ্গলবার রাতে খাবার হিসেবে ভাতের সাথে সবজি, মাছের তরকারি ও ডাল দেয়া হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি একই খাবার মাদ্রাসার আবাসিক ১ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মচারীরা খেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ডাল অথবা তরকারিতে কোনোভাবে বিষক্রিয়া হয়েছে। খাবার খাওয়ার পর থেকে অনেক শিক্ষার্থীই অসুস্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৬৩ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।’

আরও পড়ুন:

পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজির আহম্মেদ বলেন, ‘খাবার খাওয়ার কারণেই শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এছাড়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অসুস্থ হওয়ার লক্ষণ একই রকম ছিল। ডায়রিয়াজনিত সমস্যা নিয়ে তারা সবাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীরা অনেকটা সুস্থতা বোধ করছে।’

পোরশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে আগামী তিন দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। যারা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল এখন শঙ্কামুক্ত। ধারণা করা হচ্ছে খাবার পানি থেকে এ সমস্যা হতে পারে।’

সেজু