কুষ্টিয়ার শতবর্ষী মিরপুর রেলস্টেশন, কর্তৃপক্ষের অবহেলায় বন্ধ হবার উপক্রম

মিরপুর রেলওয়ে স্টেশন
মিরপুর রেলওয়ে স্টেশন | ছবি: এখন টিভি
0

কুষ্টিয়ার মিরপুর রেলস্টেশনটির বয়স শত বছরের বেশি। জেলার অন্যতম সুন্দর রেলওয়ে স্টেশন এটি। তবে বর্তমানে সেই সৌন্দর্য হারিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণতা আর কর্তৃপক্ষের অবহেলায়। অবকাঠামোগত উন্নয়নের অভাবে ভগ্নদশায় প্রায় বন্ধ হবার উপক্রম।

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা ও আশপাশের প্রায় ১৫ লাখ মানুষের গন্তব্যে যাতায়াতের ঠিকানা মিরপুর রেলওয়ে স্টেশন। তবে নানা জটিলতা ও দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণতা আর কর্তৃপক্ষের অবহেলায় স্টেশনটি প্রায় বন্ধের উপক্রম। গেলো ৬ মাস ধরে নেই স্টেশন মাস্টার, মাত্র দু’জন কর্মচারী দিয়ে কোনোমতে চলছে রেলস্টেশনের কার্যক্রম।

অথচ প্রতিদিনই হাজারো মানুষ যাতায়াত করছেন এ স্টেশন দিয়েই। ট্রেন কখন আসবে, কখন যাবে-এ তথ্য বলতে পারে না কেউ। ঠিকমতো মেলে না ট্রেনের টিকিটও। এতে চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা। জনবল সংকটের কারণে চাহিদা অনুযায়ী সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মচারীরা।

এলাকাবাসিরা জানান, স্টেশনটি যেভাবে নির্মাণ করা হয়েছিলো এখনোও তেমনই আছে। সংস্কারে কোনো কাজ করা হয়নি। স্টেশনের প্লাটফর্মগুলোও বেশ ছোট, ফলে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের।

মিরপুর রেলস্টেশন বুকিং সহকারী সুজন আহমেদ বলেন, ‘সিগনাল না থাকার কারণে যাত্রীরা পার হওয়ার সময় ঝামেলায় পড়ে। কিছুদিনের মধ্যে এ স্টেশনে মাস্টার দিতে পারে।’

আরও পড়ুন:

ট্রেনের সময়সূচি না জানা ও ট্রেন আসার ঘণ্টা না শোনায় স্টেশন এলাকায় প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এছাড়াও স্টেশনটিতে দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণতাসহ নেই দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী। যাত্রীদের জন্য নেই পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থাও। অপেক্ষমাণ প্ল্যাটফর্মও জরাজীর্ণ, নেই যাত্রীদের বসার পর্যাপ্ত আসন। এছাড়া পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যা হলেই স্টেশন চত্বরে বসে মাদকসেবীদের আড্ডা।

রেলওয়ে স্টেশনটির সেবা সম্পর্কে জানতে চাইলে পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা হাসিনা খাতুনের দায়সারা জবাব দেন, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা হাসিনা খাতুন বলেন, ‘মাস্টার নিয়ে আসার জন্য অর্ডার করা হয়েছে। এতে দুই একদিন সময় লাগতে পারে।’

শত বছরের ইতিহাস আর স্থাপত্যের সাক্ষী স্টেশনটি অবহেলা আর অযত্নে সৌন্দর্য হারাতে বসেছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জনবল নিয়োগ ও কার্যকর মনিটরিং না হলে হয়তো অচল হয়ে পড়বে শতবর্ষী এ স্টেশন।

এফএস