ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে বন্দরনগরী থেকে প্রতিদিন হাজারো পণ্যবাহী যান ছুটে আসে রাজধানীর পথে। অথচ এই লাইফলাইনে এখন ভর করেছে চুরি, ছিনতাই আর ডাকাতি আতঙ্ক।
দিন ও রাতের ক্লান্তি নিয়েই চালকরা গাড়ি চালান, কিন্তু বিশ্রামের জন্য নেই নিরাপদ জায়গা। তাই বাধ্য হয়ে থামেন সড়কের পাশে। ঝুঁকির মুখে পড়ে মালামাল ও যানবাহন।
চালকদের একজন বলেন, ‘আমাদের যখন ঘুম আসে তখন রাস্তার সাইডে গাড়ি রেখে ঘুমাই। রাস্তার সাইডে রাখলে ডাকাতে এসে ধরে আমাদের।’
আরও পড়ুন:
কুমিল্লা রিজিয়নের হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহীনুর আলম খান বলেন, ‘নিরাপত্তার জন্য যত ধরনের ব্যবস্থা সব ধরনের ব্যবস্থা নিবো আমরা। রাতের বেলায় আমরা জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ যৌথভাবে টহল দিচ্ছি।’
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের তথ্য বলছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গেল বছর ১৭১টি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১৫২ জন। আর চলতি বছরের গেল ৮ মাসে ৬৯৫টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬০ জন। এ দুর্ঘটনার বড় অংশ ঘটেছে চালকদের বিরামহীন গাড়ি চালানোর কারণে।
চালকদের একজন বলেন, ‘রাতে যদি ঘুমের ব্যবস্থা থাকে তাহলে মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা হয় না।’
এদিকে ৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কুমিল্লার নিমসারে নির্মিত হয়েছে আধুনিক বিশ্রামাগার। কিন্তু বছর গড়িয়ে গেলেও সেটি এখনও পড়ে আছে অচল। ১৩ একর জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে চারতলা বিশিষ্ট দুইটি বিশাল অবকাঠামো। যেখানে একসঙ্গে ১০০ চালক থাকতে পারবে। সব থাকলেও বহিরাগতদের কারণে সুবিধা পাচ্ছেন না চালকরা।
প্রকল্পের কাজে নকশা পরিবর্তন, ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা কারণে শেষ হতে সময় লেগেছে পাঁচ বছর। ২০২৪ সালের জুনে নির্মাণ শেষ হলেও ইজারা বা অপারেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতিতে পরিচালনা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতা সড়ক ও জনপথ বিভাগের।
কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমাদের দেশে এইটা প্রথম। ফলে এইটা লিজ দিতে ও কীভাবে আমরা চালাবে সেটা নিয়ে একটু কনফিউশন আছে। এইগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি।’





