ফরিদপুর শহরে বিকল সিসি ক্যামেরা, বরাদ্দের অভাবে বন্ধ সংস্কার

ফরিদপুর শহরের সিসি ক্যামেরা
ফরিদপুর শহরের সিসি ক্যামেরা | ছবি: এখন টিভি
0

ফরিদপুর শহরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থাপিত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাগুলো দীর্ঘদিন ধরে বিকল। এ সুযোগে দিনে-রাতে বেড়েছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। এতে আতঙ্কিত ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ। পুলিশ বলছে, বরাদ্দ না থাকায় সিসি ক্যামেরা সংস্কার ও প্রতিস্থাপন সম্ভব হচ্ছে না।

২০২১ সালে জেলা পুলিশের উদ্যোগে শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দেড় শতাধিক পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অনেক ক্যামেরাই এখন নষ্ট। কোথাও আছে বক্স কিন্তু ক্যামেরা নেই।

সিসি ক্যামেরা নষ্ট হওয়ায় শহরে বেড়েছে চুরি, ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধ। সন্ধ্যার পর ঘটছে সবচেয়ে বেশি। ফুটেজ না পাওয়ায় অপরাধী শনাক্তে বেগ পোহাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর। জনমনে বাড়ছে আতঙ্ক।

স্থানীয় একজন বেলন, ‘এখানে অপরাধের প্রবণতা অনেকটাই কম ছিল। পরে বিভিন্ন কারণে সেই সিসি ক্যামেরাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা প্রতিস্থাপিত হয়নি। এ কারণে বর্তমান সময়ে অপরাধ প্রবণতা আবার অনেকটা বেড়েছে।’

অন্য কজন বলেন, ‘সব সিসি ক্যামেরা আবার চালু করা হোক। কারণ আইনশৃঙ্খলা এবং ইদানিং আমরা দেখতে পারছি চুরি ডাকাতি ঘটছে। সেগুলোতে দ্রুত অপরাধী শনাক্তকরণে সিসি ক্যামেরা কাজে দেবে।’

আরও পড়ুন:

দ্রুতই পুরো শহরকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার দাবি নাগরিক সমাজের। বরাদ্দ পেলে শিগগিরই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সিসি ক্যামেরা প্রতিস্থাপনের কথা বলছে পুলিশ।

ফরিদপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শিপ্রা গোস্বামী বলেন, ‘খুব দ্রুততম সময়ে এ সিসি ক্যামেরাগুলো সাড়ানো প্রয়োজন। যেন আমরা যারা সাধারণ নাগরিক আছি তারা নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারি।’

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল বলেন, ‘শহরের নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জেলা পরিষদ এবং পৌরসভার সহায়তায় আমাদের ফরিদপুরের মেইন মেইন যে মোড়গুলো আছে সেগুলোতে নতুন করে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।’

শহরের পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হলেও বেশিরভাগই এখন অকেজো।

এসএস