বিদ্যালয় সূত্র জানা যায়, ১৯৯৫ সালে বিশারা গ্রামে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ে বর্তমানে পাঁচজন শিক্ষক এবং দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। দুই বছর আগে পাহাড়ি ঢলের পানির স্রোতে মাঠে প্রায় ৬০ ফুট লম্বা ও ২০ ফুট গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা চরম দুর্ভোগে পড়েন। প্রথমে নৌকা ব্যবহার করা হলেও পরে গ্রামবাসীর উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মিত হয়। সেটি ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সেই সাঁকো পার হতে হতো।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, নতুন সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় এখন তারা অনেক আনন্দিত ও স্বস্তিতে আছে। স্থানীয়রাও এ উদ্যোগকে শিক্ষানুরাগী ও মানবিক সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করেছেন।
আরও পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের নিরাপদ যাতায়াতের লক্ষ্যে বাঁশের সাঁকো পরিবর্তে বাঁশের সেতু উদ্যোগ নেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও নেত্রকোণা ১ (দুর্গাপুর- কলমাকান্দা) বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
কায়সার কামাল বলেন, স্থানীয় একটি মাধ্যমে জানতে পারি শিশু শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াতের কথা। শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেই। আমার চাওয়াই ছিল তারা যেন নিরাপদে, নির্ভয়ে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে পারে। সেই লক্ষ্যেই শিশুদের জন্য বাঁশের সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়াও দুর্গাপুর কলমাকান্দায় সাধারণ মানুষের যাতায়াত শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য আরও কয়েকটি বাঁশের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ও যাত্রা নিরাপদ করতে ভবিষ্যতেও এমন কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।





