দশকের পর দশক জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা বসতি উচ্ছেদ করতে গিয়েই বাধার মুখে পড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। খুলনার মুজগুন্নি বাস্তুহারা কলোনির স্থানীয়রা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুরো এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। এসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
প্লট মালিকদের জায়গা বুঝিয়ে দিতে রোববার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে খুলনার মুজগুন্নি বাস্তুহারা কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযানে নামে গণপূর্ত ও গৃহায়ন অধিদপ্তর। অভিযান শুরু না হতেই টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেন বাসিন্দারা। সকাল ১০টার পর পুলিশ লাঠিচার্জ করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত হয় প্রায় অর্ধশতাধিক। স্থানীয়দের দাবি, পুনর্বাসন ছাড়া তাদেরকে উচ্ছেদ করতে দেয়া হবে না।
আরও পড়ুন:
স্থানীয়রা জানান, রহিঙ্গারা বাংলাদেশে বাস করতে পারলে তারা কেন বাস করতে পারবেন না। তারা দেশের নাগরিক। পাশাপাশি এ ১৭০টি পরিবার সরিয়ে নেয়ার জন্য তারা সময়ের দাবি করেন স্থানীয়রা। এছাড়াও হাউজিং এর কিছু কর্মকর্তারা তাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
একপর্যায়ে পুলিশ পিছু হটলে উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করা হয়। পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি এড়াতে বেলা বারোটার দিকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
কেএমপি সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল বাসার বলেন, ‘নিদিষ্ট শিডিউল অনুযায়ী আজকে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সকালে প্রথমে যখন আসা হয় তখন ম্যাজিস্টেট উপস্থিত ছিলেন। তারা ব্রিফ করেন। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী ইট পাটকেল ছুড়তে থাকেন। আমরা তখন ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি।’
খুলনার মুজগুন্নির বাস্তুহারার দুই একর জায়গায় বাস করছেন প্রায় দুইশো পরিবার। ১৯৮৭ সালে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ পাশের এ জায়গাটি লটারির মাধ্যমে প্লট আকারে বিক্রি করে। ৩৫ বছর পার হলেও এখনও জায়গা বুঝে পাননি ৪২ প্লট মালিকরা। এর আগেও বেশ কয়েকবার উচ্ছেদ পরিকল্পনা করলেও স্থানীয়দের বাধার মুখে বন্ধ হয় করতে হয় বার বার।





