১৯৮৮ সালের পর ২০২৪ সালে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার সাক্ষী হয় শেরপুর জেলাবাসী। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাত হাজারের বেশি ঘরবাড়ি। পানিতে ডুবে নষ্ট হয় কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি, ভেসে যায় দেড় হাজারের বেশি পুকুর ও ঘেরের মাছ।
২০২৪ এর বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে না উঠতেই আবারও আকস্মিক বন্যার মুখোমুখি শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার মানুষ। টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢলে উপজেলার মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে উপজেলা সদরের বাজারসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানির তীব্র স্রোতে নদী তীরবর্তী বেশকিছু কাঁচা ঘর ভেঙে গেছে। পানির তীব্র স্রোতে ভেসে গেছে আসবাবপত্র। সবকিছু হারিয়ে পরিবার নিয়ে সড়কে আশ্রয় নিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
কৃষি বিভাগ বলছে, পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতী উপজেলার অন্তত দুইশো হেক্টর রোপা আমন আবাদ পানির তলিয়েছে। ভেসে গেছে শতাধিক পুকুরের মাছ। দ্রুত সময়ে পানি না কমলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ার শঙ্কা।
আরও পড়ুন:
স্থানীয়দের অভিযোগ, গেলো বছরের বন্যায় ভয়াবহ ক্ষতির পর চলতি বছর কয়েক বস্তা জিও ব্যাগ ফেলে দায় সেরেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। অভিযোগ আছে বাঁধের বরাদ্দকৃত মাটি গোপনে বিক্রির। ভুক্তভোগী এলাকার বাসিন্দাদের দাবি টেকসই বাঁধ নির্মাণের।
বাড়িঘর হারা পরিবারের সদস্যরা জানান, বন্যায় তাদের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। প্রতিবছরই বন্যায় তাদের এলাকা প্লাবিত হয়। কিন্তু এর স্থায়ী সমাধানে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে না কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, স্থানীয় প্রশাসন বলছে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি আছে। মজুত আছে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার। এমনকি জরুরি পরিস্থিতিতে পানিবন্দিদের উদ্ধারে উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
শেরপুর ঝিনাইগাতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে দ্রুত সময়ের মধ্যেই।
আকস্মিক বন্যার ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা ও দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত কার্যকর এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রতিকার নেয়ার দাবি সংশ্লিষ্টদের।





