সমুদ্রে গোসলে নেমে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ ১৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার

নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার | ছবি: এখন টিভি
0

কক্সবাজারে সমুদ্রে গোসলে নেমে নিখোঁজ শিক্ষার্থী জুহায়ের আয়মানের মরদেহ প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর সমিতি পাড়া সৈকতে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ (সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টার দিকে তার মরদেহ সৈকতে ভেসে আসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে লাইফ গার্ড সদস্য ও বিচ কর্মীরা সেখানে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে স্বজনরা মৃতদেহটি জুহায়ের আয়মানের বলে সনাক্ত করে।

সৈকতে দায়িত্বরত সিসেইফ লাইফ গার্ডের ফিল্ড টিম ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘গতকাল বিকেল পৌনে ৩টার দিকে সৈকতের লাবণি পয়েন্ট দুই সমবয়সীকে নিয়ে গোসলে নামেন আয়মান। এসময় দায়িত্বরত লাইফ গার্ড সদস্যরা তাৎক্ষণিক তৎপরতা চালিয়ে দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও স্রোতের টানে তলিয়ে যান আয়মান। এরপর লাইফ গার্ড, বিচ কর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গভীর রাত পর্যন্ত তল্লাশি চালায় সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে। সকালে মরদেহ মিলেছে।’

মরদেহ উদ্ধার হওয়া জুহায়ের আয়মান বগুড়া পৌরসভার কাটনারপাড়া এলাকার মো. শরিফুল ইসলামের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের নিকটাত্মীয়। জুহায়ের আয়মান এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল বলে জানিয়েছে স্বজনরা।

আরও পড়ুন:

এদিকে সকালে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি চেয়ে কক্সবাজার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করেন ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের আপন ভাই মোজাহিদুর রহিম। আবেদনে মৃত আয়মানকে তিনি ‘ভাগিনা’ লিখেছেন।

এর আগে সদর হাসপাতাল থেকে মরদেহ গোসলের জন্য নেয়া হয় কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে। সেখানে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসময় স্বজনদের কান্নায় সেখানে শোকাবহ পরিবেশ তৈরি হয়।

কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে বেলা পৌনে ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বগুড়ার গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে।

এসএস