শিক্ষকরা জানিয়েছেন, তাদের টাইম স্কেল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তারা বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি আর সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড স্কেল বাড়ানো হোক।’
খুলনা নগরীর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীরা আসলেও বন্ধ রয়েছে শ্রেণি কার্যক্রম। পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়ে অফিস কক্ষে অবস্থান নেন সহকারী শিক্ষকরা। এসময় উচ্চতর গ্রেডপ্রাপ্তির জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির দাবি করেন তারা।
একই দাবিতে বগুড়া ও বরিশালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। বেশিরভাগ বিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ থাকলেও দু-এক জায়গায় রুটিনের বাইরে চলছে ক্লাস। দ্রুত সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না করলে কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
উল্লেখ্য, গেল ৫ মে থেকে এক ঘণ্টার কর্মবিরতির মধ্য দিয়ে আন্দোলন-কর্মসূচির ডাক দেয় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ। কয়েক দফার কর্মসূচির পর সোমবার পালন করে পূর্ণবিরতি কর্মসূচি।
ফলে দেশের ৬৫ হাজার ৫৬৭টি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলো। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশে সব মোট শিক্ষার্থী ১ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হজার ৬৮৫ জন। বিগত সময়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ছিল ২ কোটি ৯ লাখ ১৯ হাজার ২০১ জন।
শিক্ষকদের তিন দফা দাবি
১. কনসালটেশন কমিটির সুপারিশের যৌক্তিক সংস্কার করে সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ।
২. ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পেতে জটিলতা নিরসন।
৩. প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতি দেওয়া।





