দিবসটি উপলক্ষে আজ (রোববার, ১১ মে) বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ভক্তগণ প্রতিটি মন্দিরে কেক কেটে, প্রদীপ জ্বালিয়ে ও ফুলের থালায় মন্দির সাজিয়ে মহামতি বৌদ্ধের আরাধনায় মগ্ন হয়ে উঠেন।
সকাল থেকেই শহরের আসামবস্তি এলাকায় বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার ও খিপ্যাপাড়া এলাকার বৈল্যা শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহারে ভক্ত ও অনুসারীরা ভিড় করতে শুরু করেন।
বিহারে বিহারে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পঞ্চশীল প্রার্থনা, সংঘ দান অষ্ট-পরিষ্কার দান, বুদ্ধমূর্তি দান মঙ্গলসূত্র পাঠ করা হয়। এতে সকল প্রাণীর হিতার্থে বুদ্ধমূর্তি দান, অষ্ট-পরিষ্কার দান, সংঘ দান, হাজার প্রদীপ দান ও পূজা পঞ্চশীল গ্রহণ, নানাবিধ দানানুষ্ঠান এবং উৎসর্গ করা হয়।
সমবেত প্রার্থনায় অংশ নিয়ে সকল প্রাণীর সুখ শান্তি, অহিংসা, মৈত্রী ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় দেশ ও বিশ্ববাসীর জন্য প্রার্থনা করেন পুণ্যার্থীরা।
সকালে শহরের আসামবস্তি এলাকায় বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহারে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক।
এসময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো ক্ষুদ্র ও বৃহৎ সম্প্রদায় নেই, আমরা সবাই বাংলাদেশি। আমরা সবার সমান অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে চাই। একইসাথে সবার সমান নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই।’
এ পূর্ণিমা পালনের মধ্যে দিয়ে বুদ্ধের দেওয়া উপদেশ বানী বিশ্বে ছড়িয়ে যাবে। বিশ্বে শান্তির বানী ছড়িয়ে পড়ুক এমন প্রার্থনা ছিল বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুদের।