নজরখালী বাঁধের ভেতরে তাহিরপুর ও মধ্যনগরসহ এই দুটি উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ৮২টি গ্রামের কৃষক ১০ হাজার একর বোরো ধান চাষাবাদ করেন। রামসার সাইট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকায় এ বাঁধটি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাভুক্ত নয় কিংবা এই বাঁধ নির্মাণে সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না।
তাই গ্রামের কৃষকরা এই বাঁধটি নিজ উদ্যোগেই প্রতি বছর নির্মাণ করে থাকেন। আগাম জাতের ধান চাষাবাদ করেন।
তবে ইতিমধ্যে পাহাড়ি ঢলে এই বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় ফসলির জমির কোনোও ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা নেই। কারণ ইতিমধ্যে যে স্বল্প পরিমাণের ধান হাওরে কৃষকরা রোপণ করেছিলেন সেটি কেটে ঘরে তুলেছেন।
মধ্যনগর উপজেলার কৃষক আহমদ নূর জানান, টাঙ্গুয়ার হাওরে আগাম জাতের ধান চাষ করেছিলাম। তবে সেই ধান ইতিমধ্যে ঘরে তুলতে পেরেছি।
তাহিরপুর উপজেলার কৃষক কালা মিয়া জানান, টাঙ্গুয়ার হাওরে স্বল্প পরিমাণ ধান চাষ হয়। ইতিমধ্যে সেই ধান কৃষকরা কেটে ঘরে তুলেছে। পাশাপাশি যে বাঁধটি ভেঙেছে সেটি আমরাই নির্মাণ করেছি।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, 'নজরখালী বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন নয়। তাই ওখানে কৃষকদের ধান চাষাবাদে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি হাওরে পানি ঢোকার সময় জেলেরা যেন মা মাছ না মারে সে ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য অফিসারকে বলে দেওয়া হয়েছে।'