লালমনিরহাটে দুদকের ১৭৩তম গণশুনানি অনুষ্ঠিত

লালমনিরহাটে  দুদকের ১৭৩তম গণশুনানি
লালমনিরহাটে দুদকের ১৭৩তম গণশুনানি | ছবি: এখন টিভি
0

‘সবাই মিলে গড়বো দেশ, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুড়িগ্রামের আয়োজনে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহযোগিতায় দুদকের ১৭৩তম গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ (সোমবার, ২১ এপ্রিল) লালমনিরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের দেশে বড় দুর্নীতি হয় ক্রয় সংক্রান্ত কার্যক্রমে। ঠিকাদারদের দিকে তাকিয়ে উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ তৈরি করা হয়। তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধে কর্মকর্তাদের সেবা প্রদানে আরো আন্তরিক হতে হবে এবং সেবাগ্রহীতাদের চাহিদার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’

জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আকতার হোসেন, পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুদকের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. তালেবুর রহমান।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই সম্প্রতি জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদ, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন এবং ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার পরেই শুরু হয় অভিযোগকারীদের সরাসরি গণশুনানির কার্যক্রম।

লালমনিরহাটে আজকের গণশুনানিতে ৩৩টি সরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে মোট ১০৬টি অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে দুদক তফসিলভুক্ত ৩টি অভিযোগ অনুসন্ধানের নেয়া হয়, বেশকিছু অভিযোগের তাৎক্ষণিক সমাধান দেয়া হয় এবং বাকিগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট সময় দিয়ে সমাধানের নির্দেশ দেয়া হয়।

গণশুনানিতে জেলা শিক্ষা অফিস, সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং পল্লী বিদ্যুৎ লালমনিরহাটের ওপর কমিশন অসন্তোষ প্রকাশ করে লালমনিরহাট শিক্ষা এবং সমাজসেবা অফিসের কয়েকটি অভিযোগের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত ঘোষণা দেয়া হয়।

শুনানিতে বিভিন্ন সরকারি অফিসে সেবা গ্রহীতারা সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে যে সমস্ত হয়রানির শিকার হন তারা সেগুলো গণশুনানিতে সেবা দাতাদের মুখোমুখি হয়ে কমিশনের সামনে তুলে ধরেন। গণশুনানিতে উত্থাপিত অধিকাংশ অভিযোগ আমলে নিয়ে সেবা দাতাদের দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেয়া হয়।

এএইচ