চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ জেনারেল হাসপাতাল ঠাকুরগাঁওয়ে স্থাপনের দাবিতে আজ (শনিবার, ১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে ঠাকুরগাঁও উন্নয়ন ফোরামসহ ঢাকার ঠাকুরগাঁওবাসীর বিভিন্ন সংগঠন অংশগ্রহণ করেন। আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ঠাকুরগাঁও উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ দেলাওয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, ‘চীনের এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতাল যদি ঠাকুরগাঁওয়ে হয় তাহলে শুধু রংপুর বিভাগের আট জেলা নয় বরং ভারত, নেপাল, ভুটান ও চীনের মানুষও চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন। চীনের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় এবং বাংলাদেশে অভিজ্ঞ চিকিৎসক থাকায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মানুষও এই হাসপাতালের সেবা গ্রহণে আগ্রহী হবেন।’
তিনি বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় হাইওয়ের পাশে সালান্দরে সুগার মিলের অব্যবহৃত জমি আছে ১৫০-২০০ একর। আগে আখ চাষ হলেও এগুলো এখন পরিত্যক্ত পড়ে থাকে। ফলে চীনের আর্থিক সহযোগিতায় ১০০০ শয্যাবিশিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতালটি ঠাকুরগাঁওয়েই সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সভাপতি ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এ জেলায় একটি আইসিইউ পর্যন্ত নেই। এখানে আন্তর্জাতিক হাসপাতাল স্থাপন না করা শুধু অবিচার নয়, এটি জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তার প্রশ্ন। ঠাকুরগাঁওয়ে হাসপাতাল স্থাপন হলে অন্তত তিনটি জেলার লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচবে।’
গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান বলেন, ‘বিগত সময়ে উত্তরাঞ্চলে যারা নেতৃত্বে দায়িত্বে ও জনপ্রতিনিধিত্বে ছিলেন তারাই এই অঞ্চলকে অবহেলিত করে রেখেছে। বর্তমানে ঠাকুরগাঁওয়ে এই হাসপাতাল নির্মাণের জন্য ৫০ জনেরও বেশি মানুষ জায়গা দিতে প্রস্তুত আছে। এটি অঞ্চলের গণমানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে।’
ঢাকার ঠাকুরগাঁও জেলা সোসাইটির সভাপতি ও সাবেক কর কমিশনার আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় ১২-১৪ ঘণ্টার দূরত্ব। অনেকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য আসতে না পেরে সুচিকিৎসার অভাবে মারা যান। ঠাকুরগাঁওয়ে এই হাসপাতাল নির্মিত হলে উত্তরাঞ্চলের ১৫-১৬ টি জেলার মানুষ যেমন লাভবান হবে।’
এছাড়া মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কল্যাণ সমিতির সদস্য সচিব মো. মকছেদুল ইসলাম সোহাগ, বিশিষ্ট ব্যাংকার আবুল কালাম আজাদ, ঢাকার ঠাকুরগাঁও ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আসাদুল্লাহ্ আল গালিব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।