সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রইচপুর খালের ওপর ২০২১ সালে শুরু হয় পুরোনো সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণকাজ। দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সল্যুশন ডিজাইন।
সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের নভেম্বরে। কিন্তু চার বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ। পিলার ও সেতুর উপরের অংশ ঢালাই ছাড়া নেই কোন অগ্রগতির দৃশ্য।
সদর উপজেলার ঘোনা, শিবপুর, আগড়দাড়ী ও আলিপুর ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের যাতয়াতের মাধ্যম এই সেতু। সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরুর পর বিকল্প হিসেবে পাশেই একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। সেই সাঁকো দিয়ে এখনও ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন স্থানীয়রা। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
একজন এলাকাবাসী বলেন, ‘ কাজের কোন গুরুত্ব নেই, আমরা অনেক ভোগান্তিতে আছি।’
আরেকজন বলেন, ‘ আমাদের চাষাবাদের কাজ ও জমি ব্রিজের পূর্ব পাশে হওয়ার কারণে আমরা যারা পশ্চিম পাশে থাকি তাদের উৎপাদিত ফসল ও অন্যান্য পণ্য বহনে অতিরিক্ত খরচ হয়ে যায়।’
এসব ইউনিয়নের উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও ঘেরের মাছ জেলা শহরের বাজারে নিয়ে আসার জন্য বর্তমানে ১৫ কিলোমিটার দূরের অন্য একটি সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এছাড়া সেতু ব্যবহারের সুযোগ না থাকায় জরুরি প্রয়োজনে এই পথে চলাচল করতে পারে না অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি।
একজন ভুক্তভোগী বলেন, ‘গত ৪-৫ বছর আমরা প্রচণ্ড ভোগান্তিতে আছি। কত ভ্যান যে পানিতে ও খালে পড়ল তার কোন ঠিক নেই।’
এলজিইডি বলছে, ব্রিজের মূল অবকাঠামোর কাজ শেষ হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় কিছু কাজ আটকে আছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার বিষয়ে চেষ্টা চলছে বলছেন কর্মকর্তারা।
এলজিইডি সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘জমি ও নকশা সংক্রান্ত জটিলতায় আমাদের কাজ করতে কিছুটা সময় বেশি লাগছে। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের মূল স্থাপনার কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি অংশের কিছু কাজ জমি সংক্রান্ত জটিলতায় আটকে আছে যা আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছি।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর অনূর্ধ্ব ১০০ মিটার সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে এই সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরু করে।