আজ (শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াসমিন খাতুন।
এর আগে গতকাল (বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা জেলার আশুলিয়া উপজেলার বাড়ইপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এবং ৮ ফেব্রুয়ারি সাটুরিয়া উপজেলার নয়াডিঙ্গি এলাকায় রাইজিং গ্রুপের পপুলার প্যাকেজ অ্যান্ড লিমিটেডে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পাবনার আব্দুর রশিদের ছেলে লালচান (৪১), সিরাজগঞ্জের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে লিয়াকত আলী (৫৪), খোদা বক্সের ছেলে জাহাঙ্গীর আলী (২৫), টাঙ্গাইলের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে কাউছার (২১), মোকাদ্দেসের ছেলে হৃদয় হাসান (১৯), সিরাজগঞ্জের মৃত কানছু মিয়ার ছেলে মো. মোকাদ্দেস (৪০), চাঁদপুরের তারাপদ হালদারের ছেলে রাসেল (২০), রংপুরের আশরাফ আলীর ছেলে জাহিদ হাসান (৩৫), সিরাজগঞ্জের মৃত মোকছেদের ছেলে আবু সাঈদ (৫০), ফজলুল হকের ছেলে স্বপন মিয়া (২২) ও মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সাজেদুল ইসলাম (৩৫)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাত আড়াইটার দিকে অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জন ডাকাত মুখে মুখোশ ও হাতে হ্যান্ড গ্লাভস পরে কৌশলে ফ্যাক্টরীর নিরাপত্তা প্রাচীরের প্রধান ফটক টপকিয়ে ফ্যাক্টরীর গ্রিল ও গেইটের তালা কেটে ফ্যাক্টরীর ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় তারা লোহার হাসুয়া, চাকু, রামদা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ফ্যাক্টরীর হেলপার মো. শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য সকল কর্মচারীদের রশি ও গামছা দিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে।
ডাকাতরা ফ্যাক্টরির ফিনিশিং ফ্লোরে থাকা ডাইং পলিব্যাগ ও নগদ টাকা লুট করে পিকআপ গাড়িযোগে পালিয়ে যায়। ভোরের দিকে ফ্যাক্টরীর হেলপার শফিুকল বিষয়টি ফ্যাক্টরীর ম্যানেজার মো. সাহেব আলীকে ফোন জানায়। পরে পপুলার প্যাকেজ এ্যান্ড অ্যাক্সেসরিজ লিমিটেডের ডিজিএম (অ্যাডমিন) মো. মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় একটি অভিযোগ করেন।
মামলার হওয়ার পর প্রথমে ডাকাতির সময় লুট হওয়া দু'ইটি মোবাইল পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলা থেকে আসামি শরীফের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। তাকে দু'দিনের রিমাণ্ডে আনার পর তার দেয়া তথ্যমতে ঢাকা জেলার আশুলিয়া উপজেলার বাড়ইপাড়া জুম্মাঘর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় লুট হওয়া পলিথিন, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুইটি পিকআপ, তিনটি ছ্যাদা, চাপাতি, চারটি কাটার, হ্যান্ড গ্লাভস, মুখোশ বা টুপি ও তাদের ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুল ইসলাম বলেন, 'গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, খুন, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত বাকি আসামিদের শিগগির গ্রেপ্তার করা হবে।'





