সাফল্য ধরা দিলেই কেবল মেলে স্বীকৃতি-প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায় সংবর্ধনা, এমনকি অভাব হয় না শুভাকাঙ্ক্ষীরও। এরকমই ছিল গেল দেড়-দুই দশকের চিত্র। কিন্তু এবার টানা দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জনের পর সপ্তাহ দুয়েক ধরে চলছে নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনার উৎসব।
এবার সাফজয়ীদের পুরস্কৃত করেছে ওয়ালটন। নারী ফুটবলের প্রায় শুরু থেকেই বিভিন্নভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। আশ্বাস মিলেছে আগামীতেও সবপর্যায়ের নারী ফুটবলে পৃষ্ঠপোষকতার।
ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ইকবাল বিন আনোয়ার বলেন, ‘সবাইকে উৎসাহিত করার যে প্রোগ্রাম এইটা চলতেই থাকবে। বাংলাদেশের নারী ফুটবলের দলের বাফুফের মাধ্যমে যে খেলাগুলো হবে তার সবগুলোতে আমরা থাকার চেষ্টা করবো।’
অর্জনের পর সংবর্ধনা মিলছে-মিলবে। তবে নারী ফুটবলের ভবিষ্যৎ কোন পথে এগোবে? ফুটবলারদের দীর্ঘদিনের চাওয়া নারী লিগের ভবিষ্যৎ বা কি? মিলেছে তার উত্তরও।
বাফুফের কার্যনির্বাহী সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘আমরা আগামী বছর আশা করছি যে আমরা ফুটবল লীগটা করবো।’
এবার সাফজয়ের পর ইউরোপের ক্লাবে খেলতে যাওয়া, বেতনের চুক্তি নবায়ন কিংবা নারী লিগ চালুর প্রসঙ্গে বাস্তববাদী অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, ‘এ বছর যে জিনিসগুলো হয়েছে আমরা চাইনা সেই জিনিসগুলো আবার রিপিট হোক। টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা বলে অনেকবার টুর্নামেন্ট হয়নি। মেয়েরা এতে মোটিভেশন হারিয়ে ফেলছে।’
প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও সাফল্য আসছে নারী ফুটবলে। থমকে থাকা লিগ শুরুর আশ্বাসের ফুল কতটা স্নিগ্ধতা ছড়াবে- এনিয়েও শঙ্কা সাবিনাদের।