তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর সমুদ্র সম্পদকে সুরক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে আদর্শ হলো ব্লু বন্ড। তাই বিএসইসি ব্লু বন্ডের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।'
বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, 'ব্লু বন্ডের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করতে কাজ করে যাচ্ছি। এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সমুদ্র অপরিহার্য। এমনকি বৈশ্বিক মাছের চাহিদা পূরণে ৮০ শতাংশ অবদান রাখে সুনীল অর্থনীতি। তবে বছরের পর বছর সম্পদ আহরণ ও পরিবেশগত অবনতির জন্য সুনীল অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। তাই সমুদ্র সম্পদের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ব্লু বন্ড নিয়ে কাজ করছি।'
এছাড়া অলোচনায় ব্লু বন্ডের উদ্ভাবনী অর্থায়ন প্রক্রিয়া, স্থায়িত্ব বিবেচনা, সমুদ্র শাসনের পাশাপাশি ক্ষুদ্র দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোর (এসআইডিএস) জন্য বিনিয়োগের সুযোগ সুবিধা তুলে ধরেন তিনি।
এশিয়া-প্যাসিফিক ব্লু ইকোনমি ফোরাম, জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং মালদ্বীপের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ সম্মেলনটির আয়োজন করে। এ কাজে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন নেতৃত্ব দিচ্ছে।
সমুদ্র অর্থনীতির মূল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে ১৫টি দেশের সরকারি মন্ত্রণালয়, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ সংস্থা এবং অনুশীলনকারীরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সুনীল অর্থনীতির আকার এই দশক শেষে দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্রের পরিবেশ পুনরুদ্ধার, সামাজিক ন্যায্যতা এবং উপকূলীয় সম্প্রদায়ের জীবিকা নিরাপদ নিশ্চিত করতে সরকারি, বেসরকারি এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নতুন অর্থায়নের মাধ্যমে এ খাতের বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। ব্লু ইকোনমি কিছু উপকরণের মাধ্যমে প্রাইভেট ফাইন্যান্সকে আরও আকর্ষিত করবে।
প্রসঙ্গত সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু-ইকোনমি হচ্ছে সমুদ্রের সম্পদনির্ভর অর্থনীতি। সমুদ্রের বিশাল জলরাশি ও এর তলদেশের বিভিন্ন প্রকার সম্পদকে কাজে লাগানোর অর্থনীতি। অর্থাৎ সমুদ্র থেকে আহরণকৃত কোন সম্পদ যদি দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হয়, তাই ব্লু -ইকোনমির বা সুনীল অর্থনীতির পর্যায়ে পড়বে। মৎস্যসম্পদের মাধ্যমে সমুদ্র খাবারের চাহিদা মেটায় এবং পণ্য পরিবহনের মাধ্যম হিসেবেও ভূমিকা রাখে।