যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে সম্প্রতি ১১ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঐতিহাসিক অস্ত্রচুক্তি এবং তাইওয়ান ইস্যুতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির চীন বিরোধী মন্তব্যে শুরু থেকে ক্ষুব্ধ বেইজিং। এমন পরিস্থিতিতে এবার তাইওয়ানের চারপাশ ঘিরে বড় ধরনের সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিলো চীন। মহড়ার নাম দেয়া হয়েছে ‘জাস্ট মিশন-টু-থাউজেন্ড টোয়েন্টি ফাইভ’।
তাইওয়ান প্রণালীসহ দ্বীপের চারপাশে পাঁচটি ব্লকে হবে এই মহড়া। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যৌথ এই মহড়ায় অংশ নেবে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী ও রকেট ইউনিট।
মহড়া চলাকালে অঞ্চলটির সমুদ্র ও আকাশপথে চলাচলে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে বেইজিং। তাইওয়ান ইস্যুতে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি ও অন্যদেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি হিসেবে মহড়াটি চালানো হবে বলেও জানিয়েছে চীন।
চীন পিপলস লিবারেশন আর্মি ইস্টার্ন কমান্ড মুখপাত্র শি ইয়ি বলেন, ‘সমুদ্র ও আকাশ পথে যুদ্ধ প্রস্তুতি, সার্বিক নিয়ন্ত্রণ এবং গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ও কৌশলগত এলাকা অবরোধ ও নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে মহড়া চলানো হবে। যা ‘তাইওয়ান স্বাধীনতা’ বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি ও বাইরের হস্তক্ষেপকারী শক্তির প্রতি একটি সতর্কবার্তা। এটি জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার জন্য একটি বৈধ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।’
আরও পড়ুন:
চীনের এ মহড়াকে তাইওয়ান প্রণালী এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে দাবি তাইওয়ানের। এমনকি এটিকে বেইজিংয়ের সামরিক ভীতি তৈরি ও উস্কানি আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দাও জানিয়েছে তাইপে। ক্ষোভ ঝেড়েছেন তাইওয়ানের সাধারণ জনগণও।
তাইওয়ানের একজন বাসিন্দা বলেন, ‘চীন কেবল তাইওয়ানকে নিজস্ব দেশের অংশ হিসেবে দাবি করে। কিন্তু তাইওয়ানের জনগণ এটি মানতে নারাজ।’
অন্য আরেকজন বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের তাইওয়ান নিজস্ব আলাদা দেশ। আমাদের একজন প্রেসিডেন্ট আছেন। আমাদের নিজস্ব সংবিধানও আছে এবং আইনসভাও আছে। আমি বিশ্বাস করি আমরা সম্পূর্ণ স্বাধীন জাতি।’
২০২২ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইপেই সফরের পর থেকে তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে চীন। ফলে চীন-তাইওয়ান উত্তেজনার পারদ ক্রমেই বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে চীনকে সমর্থন জানিয়েছে রাশিয়া।





