‘নয় দফা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ হবে সুখী-সমৃদ্ধিশীল’

পূর্বাচলের সংবর্ধনাস্থলে তারেক রহমান ও ড. আব্দুল মজিদ
পূর্বাচলের সংবর্ধনাস্থলে তারেক রহমান ও ড. আব্দুল মজিদ | ছবি: এখন টিভি
0

‘আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান’, ‘উই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান’। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার সংবর্ধনা সভায় এ কথাটি দৃঢ়তার সঙ্গে উচ্চারণ করেন। দেশের সকল গণতন্ত্রকামী মানুষকে নিয়ে দেশগড়ার যে পরিকল্পনা রয়েছে, তার মধ্যে নয়টি বিষয়কে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষাবিদ ও গবেষকরা। এরমধ্যে কৃষি নিয়ে কাজ করেছেন ড. আব্দুল মজিদ। তিনি জানান, এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ হবে সুখী-সমৃদ্ধিশীল।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ মিনিটের বক্তব্যে দেশগড়ার পরিকল্পনার কথা মাথায় নিয়ে বলেছেন উই হ্যাভ এ প্লান। তখন থেকেই আলোচনায় বিষয়টি।

মূলত বিএনপির ৩১ দফার মধ্য থেকে অগ্রাধিকার দিয়ে নয়টি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছে। এ নিয়ে কাজ করছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ। এর মধ্যে কৃষি নিয়ে কাজ করছেন ড. আব্দুল মজিদ। তিনি জানান, স্বাস্থ্য, ও সামাজিক সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ফ্যামিলি কার্ড, কৃষি কার্ড ও ধর্মীয় গুরুদের সম্মানের সঙ্গে বাঁচার নিশ্চয়তা বিধান করতে চায় বিএনপি।

আরও পড়ুন:

কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. আব্দুল মজিদ বলেন, ‘নারীকে যদি আমরা স্বাবলম্বী করতে পারি তাহলে বাচ্চারা যে স্কুলে যায়, সেই কাজের পাশাপাশি সংসারের যে কাজ পাশাপাশি ইনকাম জেনারেটের কিছু কাজ যেন তারা করতে পারে। এ জন্যই তিনি ফ্যামিলি কার্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের সব মানুষ এ কার্ডের কার্যক্রমের আওতায় আসবে। প্রাইভেট ক্লিনিকের আওতায় একটি চুক্তি থাকবে। এ পিপিতে যেন মানুষ সরকারী হাসপাতালের পাশাপাশি প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে ওই সেবাটি পায়।’

এছাড়া শিক্ষা, ক্রীড়া, খালখনন ও দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন নিয়ে ভাবনা রয়েছে পরিকল্পনায়, যা উন্নত দেশ গড়ায় সহায়ক হবে।

ড. আব্দুল মজিদ আরও বলেন, ‘মূলত তার ৩১ দফা যে রয়েছে সেখান থেকে এ নয়টি দফা সরাসরি কৃষিকে কেন্দ্র করে নেয়ার চেষ্টা করেছেন। উনি যদি এটি বাস্তবায়ন করতে পারে তাহলে আমার বিশ্বাস বাংলাদেশ আবারও উন্নত বাংলাদেশের কাতারে চলে যাবে।’

দেশ গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক নেতা ও শিক্ষাবিদ ও গবেষকসহ ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়। এ কমিটি প্রায় এক বছর ধরে কাজ করছেন।

এফএস