নভেম্বরের শুরু থেকেই, বিভিন্ন দাবিতে জামায়াত ইসলামীর সাথে মাঠে ছিলো ইসলামী আন্দোলনসহ ৮ দল। তখন থেকেই জোট বা আসন সমঝোতার বিষয়ে আলোচনা চলছিলো দলগুলোর মাঝে। তবে, এবার নতুন করে আরও কয়েকটি দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে দলটি, যেখানে নতুন করে যুক্ত জাতীয় নাগরিক পার্টি ও এবি পার্টির নাম।
কিছুদিন আগেও জামায়াতের রাজনীতির সমালোচনায় মুখর ছিলেন এনসিপির একাধিক নেতা। তবে নির্বাচনের আগ মুহূর্তে হঠাৎই সম্পর্কে নতুন মোড়। জামায়াতের সাথে আসন সমঝোতার কাছাকাছি এনসিপি। এ নিয়ে শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছে দু'দলের নেতারা।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আট দলটা আরেকটু সম্প্রসারিত হয়ে আরেকটু বড় কলোবরে নির্বাচনি আসন সমঝোতার মধ্য দিয়ে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো ইনশাআল্লাহ।’
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘আমরা আন্দোলরত দলগুলো একসাথে নির্বাচনে যাবো৷ সে প্রেক্ষিতে আমরা ৯ তারিখ আসন বিন্যাসের আলোচনা শুরু করি। এখনো সে আলোচনা চলমান। একটা পর্যায়ে এসে আমরা সেটা শেষ করছি। আশা করি আজ কালকের মধ্যে এটা ইতি টানতে পারবো।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীকে সংস্কারের জায়গায় আমরা মোটামুটি পজেটিভ দেখেছি। সে জায়গায় জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আমাদের একটা নির্বাচনি জোট বা আসন সমঝোতা হতে পারে। এর সম্ভাবনা খুবই তীব্র বলা যায়।’
আসন সমঝোতা নিয়ে দু'দলের এই অগ্রগতির মধ্যেই, জামায়াতের সঙ্গে জোট নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় ৩০ নেতা। তবে, দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন মনে করছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতারা পক্ষে থাকায় আসন সমঝোতায় প্রভাব পড়বে না। জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে জামায়াতের কাছে ৫০টি আসন চায় এনসিপি।
জাবেদ রাসিন বলেন, ‘আমাদের এখন পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর সাথে ৫০টি আসন নিয়ে আলোচনা চলছে। এটা কমতেও পারে বাড়তেও পারে। আলোচনা যেহেতু শুরু হয়েছে একটা জায়গায় গিয়ে এটা থামবে।’
তবে, কত আসনে সমঝোতা হতে পারে, সে সংখ্যা নিয়ে স্পষ্ট করেননি, জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আযাদ। বলছেন, এনসিপির প্রার্থীদের জনপ্রিয়তাসহ বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করেই সমঝোতা হবে আসন নিয়ে।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আমাদের একটা মূলনীতি আছে। সবার জন্য একই মূলনীতি। কাকে কোন জায়গায় আসন দিলে জিতবে। আবার সেন্ট্রালি যারা বড় অবদান রাখছে তাদের আমরা একোমোডেট করবো।’
তবে বেশকিছু দল বিলুপ্ত করে বা পদত্যাগ করে একটি দলের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়াকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে দল দুটি





